মনের মানুষ ছবিতে সাই এর অভিনয়ে প্রসেনজিৎ যখন পুরোদস্তুর মানব হিতৈষী তখন কোন এক মহিলা তার সেবায় সবসময় তৎপর ছিল যদিও সে মহিলা স্বামীহারা। অনেক পূর্ণিমার রাতে সেবিকা প্রসেনজিৎকে খুব কাছে পেতে চেষ্টা করত। মাঝে মাঝে উচ্ছাপূর্বক সাইয়ের সাথে ঘষাঘষি করত। কিন্তু সাই হলেন মহান ব্যক্তি। তিনি পার্থিব এসব লালসায় নিজেকে কখনো জড়াতেন না। তাই বারবার সেবিকা নিজের যৌবণ জ্বালা মিটাতে ব্যর্থ হত।
ছায়াছবির একেবারে শেষের একটা সিকোয়েন্স বারবার মনে পড়ে। গুরু নিজের কাজে ব্যস্ত। গভীর রাত তখন। দুরের আকাশে চাঁদ ঝলমল করছিল। সেবার উদ্দেশ্যে সেবিকা এসেই নির্জনতার সুযোগ নিয়ে গুরু কে সেই ভাবে ঘষা দেয়া শুরু করল। গুরু নিজেকে অনেক বিদ্রোহের মাধ্যমে যে রক্ষা করছিলেন সেটা অনুমেয়। কিন্তু সেবিকা নাছোড়। শেষ পর্যন্ত সেবিকা গুরুর গুপ্তাঙ্গে হাত দিয়ে উৎফুল্লে চেচিয়ে উঠে বলেছিল গুরু তোমার কাম জাগছে। কিন্তু গুরু আগের মতই নির্বেকার। শুধু প্রতি উত্তরে গুরু বলেছিল দেহ জাগে দেহের নিয়মে মন যদি না জাগে?? এই কথা শোনার পর সেবিকা ব্যর্থ মনোরথে গুুরুর কাছে আর খারাপ মনোবাসনাতে ফিরেনি।
আমাদের দেশে কোন রাজনৈতিক লক্ষণ যদি সামান্য একটু আধটু গ্যাস্ট্রিকের মত ঢেকুর উঠে তবে সুশীল সমাজ আর মিডিয়া এমনভাবে ফলাও করে যে মনে হয় দেশে কোন রাজনৈতিক সংকট থাকবে না।আবার যদি বিদেশী বিশেষত ভারতের কেও কোন কাজে আসে তাতেও তারা অনেক কিছুর আশা খুজে পান। যদিও তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আসে। এই যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে আসছে তিস্তা চুক্তি হবেই না বরং স্থলচুক্তি পাকা করে বাংলাদেশকে ব্যবহারের পায়তারা করবে। তাতেও বিশেষ শ্রেণির নেতা(পাচাটা) সুশীল(পাচাটা) মিডিয়া(পাচাটা) অনেক আশা দেখছেন। এদের আশার ধরণ এমন যে যদি পশ্চাতদেশে গরম ডিমের থেরাপি দিতে দিতে সামনে বরফকুচি রাখা হয় তাতে তারা সেই বরফকুচিতেই খুশি। আমি গর্বিত আমি বাঙালী বলে।