Flickr

Thursday, 29 October 2015

মাজার আসলে কি? ১

Posted by   on

বাংলাদেশে এখন ব্যঙ এর ছাতার মত মাজার। যেখানে সেখানে যত্রতত্র মাজার আর মাজার। এই মাজারগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে মদ জুয়াসহ যাবতীয় আসামাজিক কার্যকলাপের আসর। প্রচলিত মারেফাতী দল বা তরীকা পন্থির অধিকাংশই গড়ে ওঠে স্ব স্ব পীর-মাজারকে কেন্দ্র করে। বংশের মধ্যে কোন প্রকারে একজন পীর খেতাব ধারণ করতে পারলে তার ছিল্ছিলা চলে শত পুরুষ পর্যন্ত; বংশের মাজার যত বাড়ে, পরিবারের আয়-রোজগার বাড়ে তার লক্ষ-কোটি গুণ বেশি।

মাজার আসলে কি? মাজার কিছুই নয়। মাজার হল এক ধরনের কবর। সাধারণ মানুষের কবর। আবার কোন কোন জায়গায় এমনও কবর আছে যেখানে কোন কবরের অস্তিত্ব নাই। মানুষ কাল্পনিক নাম দিয়ে পুজা অর্চনা করে। যেমনঃ ন্যাংটা বাবা, সাত মাওলানা, বদনা শাহ, কাছিম বাবা, গায়েবী ধন বাবা, মামা ভাগিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

মাজার নয়, মাজার শরিফ! গুরুদের আকর্শণীয় কলেমা হলো: নারী-পুরুষ হয়ে দরবারে এসো না! ভক্ত হয়ে এসো। অর্থাৎ দরবার শরীফ নারী-পুরুষের অবাধ নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্র। সুতরাং যুবক ও ধনাঢ্য ভক্তদের উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়; আর এটুকু নিরাপদ বাড়তি ভোগের জন্য গুরু-পীরের বাড়তি কেরামতির প্রচারনাও চালাতে হয়।

চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার হল মাজার পুজারিদের তীর্থ ক্ষেত্র। ভণ্ডামি ও নষ্টামির রাজধানী বলা চলে। এরা আবার রাজনিতির সাথে সরাসরি যুক্ত। তাদের কোন কোন পীরকে গোসল দেওয়ার পর সেই পানি একটা পাত্রে জমা করা হয় তারপর ভক্তদের মাঝে বিতরন করা হয়। এখন ভক্তরা কি পেশাব পান করছেন নাকি পানি পান করছেন, তা কেউ জানে না।
 
ভক্ত-খাদিমগণ মৃত পীরের মাজারগুলি অঢেল অর্থ খরচে (নিজেদের টাকা নয়) শ্বেত পাথর, মার্বেল পাথরে গম্বুজ, মাজার-প্রাসাদ গড়ে তোলেন; বছর বছর মাজারকে আতর-গোলাপ জল দিয়ে গোসল, গেলাপ-সামিয়ানা পরিবর্তন, দিনে-রাতে টাটকা ফুল-মালা অর্পণ, আগরবাতি জ্বালিয়ে আকর্শণীয়ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখেন এবং যথাস্থানে বড় তালা ঝোলা মস্ত বড় লোহার দান বাক্স রাখেন। রাস্তা-ঘাটে, গাছ পালায় অনুরূপ মিনি বাক্স ঝুলানো থাকে; বিশেষ করে খাজা বাবার নামে। ওরশ মোবারক তাদের বাৎসরিক মওসুম। 
খাদেম-ভক্তদের প্রধান প্রচার থাকে যে,
বাবাজান মরেননি, দেহ ত্যাগ করেছেন বা আড়ালে গিয়েছেন; তার দেহ মোবারক যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছেন, কোন দিনও পচবেন না; প্রমান স্বরূপ দেহ ত্যাগের দীর্ঘ পরে কোন এক সময় কবর খুঁড়ে অমুক ভক্ত(গণ) স্ব-চক্ষে গুরুর অপরিবর্তিত লাশ মোবারক দেখেছেন। অন্ধ বিশ্বাসী দূর্বল-সাধারণ আগন্তুকগণ শুনে আরো দূর্বল হয়ে পড়েন, রুকু সেজদায় পড়ে যান; এমনকি মৃত বাবার ভক্ত হয়ে যান, হালাল-হারাম মকছুদ পূরণে ঢালতে থাকেন হারাম-হালাল উপার্জিত অর্থ সম্পদ। 




এই লিখাটিতে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপাত্ত ক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।আরও বিস্তারিত আগামীকাল।

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter