এই লিখাটিতে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপাত্ত ও তথ্য
সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিভিন্ন বাংলা মাসে ( হিজরি নয়) তাদের বিশেষ
পুজা অর্চনা পালন করা হয়। যা উরশ নামে পরিচিত। এই উরশের ধারনা হাদিস কোরানের কোথায়
লিপিবদ্ধ আছে তা আজ পর্যন্ত কোন পীর কিংবা তাদের খেদমতধার (ম্যানেজার) দেখাতে
পারেননি। ع ر س এই তিনটি অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত আরবী শব্দ "উরস" অর্থ
হচ্ছে: বিয়ে। তথাকথিত পীর-ফকিরেরা যে দিন মারা যায়,
সেদিন তাদের আত্মা নাকি দেহ থেকে "মুক্ত" হয়ে আল্লাহর
সাথে গিয়ে মিলিত হয় - আল্লাহর সাথে তাদের বিয়ে বা মিলন হয় (নাউযুবিল্লাহ্!) -
ব্যাপারটা highest order-এর শিরক ও কুফর! এর পর বছর বছর ঐ
পীরের অনুসারীরা তার মৃত্যু দিবসকে (বা তার "বিয়ে"-র দিনকে) commemorate
করতে তার "উরস" দিবস বা "ওরশ" পালন করে
থাকে! (নাউযুবিল্লাহ্!)
মাজার বিষয়ে কোন প্রশ্ন উঠলে কোরান হাদিসের বানীর
অপব্যখ্যা দিয়ে তা ধর্মপ্রাণ মানুষকে বুঝানো হয়ঃ
অ লা... রুজেকুন... তাশউরুন। [৩: এমরান-১৬৯; ২: বাকারা-১৫৪] অর্থ: আল্লার পথে যারা নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না; তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালক থেকে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত হয়; কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।
অ লা... রুজেকুন... তাশউরুন। [৩: এমরান-১৬৯; ২: বাকারা-১৫৪] অর্থ: আল্লার পথে যারা নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না; তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালক থেকে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত হয়; কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।
আয়াতটির মূল শব্দত্রয়: কতল = খুন, নিহত এবং হায়া
ও রেজ্জেক শব্দদ্বয়ের প্রায় ৫০টির মতো অর্থ আছে; ব্যবহৃত
অর্থ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য অর্থ: হায়া = সাক্ষী, অভিজ্ঞতা,
অভিনন্দন, প্রফুল্ল; রেজ্জেক = দান, আশীর্বাদ, উপহার, আয়, যৌতুক,
সম্পত্তি।
উহাদের গবেষণা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে প্রচলিত অনুবাদ
উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করা যায়। সংক্ষেপে এটুকু মাত্র আলোচনা করলেই যথেষ্ট যে,
পীর-গুরুগণ আল্লাহর পথে (তাদের নিজের চিন্তা ও মতামত, আল্লাহর
পথে থাকলে তারা কিভাবে মানুষের কুফরি ও শিরক মেনে নেয়!) থাকলেও প্রধানতঃ তারা
অন্যের হাতে নিহত হন না বা হননি। আল্লাহর কাছে জীবিত ও রিজ্জিক প্রাপ্ত হলেও রওজা
শরিফের লাশ মোবারক জীবিতও নন! রিজ্জিকপ্রাপ্তও নন! উপরন্তু আত্মার রিজ্জিক আর দেহের
রিজ্জিক এক নয়। ইত্যাদি সঙ্গত প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তারা (সকলে নয়) সোজা বলে দেন
যে, ৭ম শতাব্দির পুরানো কোরান আধুনিক সমাজে অচল তাই তারা
মানেন না; আবার কেহ বলেন, সবাক
কোরান মানেন, নির্বাক কাগুজে কোরান মানেন না ইত্যাদি।
সবাক কোরান বলতে তারা স্ব স্ব পীর-গুরুজনকে বুঝে থাকেন, যাদের
মধ্যে শরিয়তের মতই পরস্পর কম-বেশি মতবিরোধ, ঝগড়া-ফাছাদ
এমনকি লাঠা-লাঠিও হয়।
প্রশ্ন হলো সবাক কোরান অর্থাৎ গুরুর
মৃত্যুর পরে নির্বাক অদৃশ্য হয়ে যায়; তখন ভক্তগণ সবাক-নির্বাক উভয় কোরান হারিয়ে এতিম অবস্থায় মাজার
পুজা/ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন।
‘লাশ পচে না বা পচেনি’ এমন ঘটনা বিশেষ ক্ষেত্রে অসম্ভবের কিছু নয়; কিন্তু দেখতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে শরিয়তের আশ্রয় নিয়ে ফতোয়া দেন যে, কবর খোড়া যায়েজ নয় অথবা আধ্যাত্বিক ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
যে লাশ পূর্বের মত খায় না, মোরাকাবা-মোশাহেদা করে না, এলহাম প্রাপ্ত হয় না, নড়ে চড়ে না! সেই লাশের
সঙ্গে হিন্দুদের মাটির মূর্তি, ঘরে-বাইরে দেয়ালের
ছবি-মুর্তি, মাটির নীচে হাজার হাজার বছর পূর্বের
উদ্ধারকৃত অক্ষত কষ্ঠিপাথরের মূর্তি, কোটি কোটি বছর
পূর্বে ডাইনোসারের কঙ্কাল, মাটি-পাথর, মরা গাছের গুড়ি ইত্যাদিও মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যের পার্থক্য ব্যতীত আর
কোন পার্থক্য নেই। জ্যান্ত মানুষ বা ধর্ম-অধর্মের উপর আত্মার কর্তৃত্ব থাকলেও
(অপ্রমানিত) লাশের কর্তৃত্ব বিয়োগ শুণ্যের (-০) কোঠায়; স্বয়ং
গুরু নিজেই যা ত্যাগ করেছেন! উহাকে পূঁজি করে পীর-মাজার ব্যবসা অবশ্যই প্রতারণা!
সুতরাং দর্শন বিশ্বাস (আইনুল একিন), বিজ্ঞান বা শিক্ষাগত
বিশ্বাস (এলমুল একিন) ও যুক্তি- বিশ্বাসের (হাক্বুল একিন) আলোকে প্রকৃত সন্মানিত
পীর-গুরূর ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় দেহত্যাগী আত্মা কথিত ভক্ত-শিষ্যদের ঐ সমস্ত কাল্পনিক
(জুন্নুন একিন) আর্থিক-অনার্থিক, ব্যবসায়িক কার্যকলাপে
কিছুতেই সন্তুষ্ট হ’তে পারেন না; বরং অপমানবোধ ও দুঃখিত হওয়াই স্বাভাবিক। অতএব সন্মানিত জীবিত
গুরু=শিষ্যদের এ বিষয় ভেবে দেখা জরুরী।
ভক্তগণ স্ব স্ব গুরুকে আল্লাহ জ্ঞান করেন, মাজারকে আল্লাহর মাজার ভাবেন কি না জানা নেই। ‘আল্লাহ’ এমন একটি নাম যা সৃষ্টি-অসৃষ্টির যাবতীয় নামের সর্বনাম বা মোট ঐক্য, অখন্ড অর্থাৎ ‘০’ শুণ্য নাম। খন্ডিত মানুষ খন্ডিত গুরুর মধ্যে যা কিছু পায় তাও খন্ডিত। আল্লাহর পূর্ণ অবয়ব অনুভূতি রাছুল, নবি বা গুরূ কোন খন্ডিত মানুষের পক্ষে দর্শন লাভ কোন দিনও সম্ভব নয়। এমনকি ক্ষুদ্র বিন্দু,একটি বলের দিকে তাকালে বলটির পুর্ণ অবয়ব দর্শন করা সম্ভব হয় না। গুরুর দিকে তাকালে গুরুর এক পাশ দেখা যায়; সুতরাং গুরুকে আল্লাহ বলে দাবি বা স্বীকার করার অর্থই শিরক বা অহং। ‘আলো আর আলোকিত,’ ‘রং আর রঞ্জিত’ উভয়ের পার্থক্য আকাশ পাতাল। গুরুগণ আলোকিত হন, কিন্তু আলো নন! জ্ঞানী হন কিন্তু জ্ঞান নন! অতএব তারা আল্লাহ হতেই পারেন না; বরং অখন্ড আলোয় খন্ডিত দেহ আল্লাহময় বা রব্বানী হন ( ৩: ৭৯)!
অপচন লাশ সম্বন্ধে শরিয়তের বিশ্বাস ঘোর
বিপরীত; তাদের ধারণা,
‘অত্যাধিক পাপী বা অপবিত্র লাশ পবিত্র মাটি কখনও
গ্রহণ করে না, তাই পচেনা।’ পক্ষান্তরে রাছুলের লাশ মোবারক কেয়ামতের আগ
পর্যন্ত পচবেন না বলেও বিশ্বাস করেন। শুধু তাইই নয় তিনি কবরে এখনও জীবিত আছেন বলেই
বিশ্বাস করেন। কোন তফসির কেতাবে নাকি লেখা আছে যে, ’মহানবি কবরে এখনও জীবিত আছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত
জীবিত থাকবেন। প্রমান স্বরূপ কোন এক হজ্জের সময় তিনি কবরের মধ্য থেকে হাত বের
করেছিলেন এবং তা ৯০ হাজার হাজী প্রত্যক্ষ দর্শন করেছিলেন!‘ (তথ্যসুত্র: সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা,
তাং- অজ্ঞাত, নিউ ইয়র্ক; ফোন: ৭১৮-৪৮২৯৯২৩; লেখক: মদিনা মসজিদের
বিতর্কিত ইমাম ও খতিব মাও. মুহিব্বুর রহমান)!
আল্লাহ মহানবির জীবন হরণ করে লাশ
মোবারক গোরস্থ করতঃ পুনঃ জীবিত করে কেয়ামত পর্যন্ত মাটি চাপা দিয়ে রাখার কাল্পনিক
বিশ্বাস মহানবির নামে গুরুতর মিথ্যা অপবাদ! কলঙ্ক না গুণগান-সন্মান! সমাজের জন্য
বিভ্রান্তকর! তা আলেম/আল্লামাগণ কখনও ভেবে দেখেনি।
আল্লাহ মহানবীর জীবন হরণ করে লাশ মোবারক গোরস্থ করত পুনঃ জীবিত করে
কেয়ামত পর্যন্ত মাটি চাপা দিয়ে রাখার কাল্পনিক বিশ্বাস মহানবীর নামে মিথ্যা অপবাদ, কলঙ্ক! না গুণগান-সম্মান! সমাজের জন্য বিভ্রান্তকর! তা কখনও ভেবে
দেখেনি।
আমার ধারণামতে
সারাবিশ্বের মধ্যে চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশী মাজার রয়েছে।হু হু করে মাজারের সংখ্যা
বেড়ে চলেছে নিত্যদিন।আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এ মাজারের সংখ্যা বাড়ার কারণ কি? একাগ্রচিত্তে ভেবে দেখলেই আপনি এর উত্তর
পেয়ে যাবেন। যাক এবার মূল কথায় আসা যাক।
“খাজা তোমার দরবারেতে,
কেউ ফিরেনা খালি হাতে!!!”
(নাউজুবিল্লাহ)
বোকা কিছু মানুষ আছে যারা জীবনে কোনোদিন নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, কোনো সমস্যায় পড়লেই খাজা তথা গাঁজা বাবাদের দরবারে দৌড় দেয়।
“খাজা তোমার দরবারেতে,
কেউ ফিরেনা খালি হাতে!!!”
(নাউজুবিল্লাহ)
বোকা কিছু মানুষ আছে যারা জীবনে কোনোদিন নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, কোনো সমস্যায় পড়লেই খাজা তথা গাঁজা বাবাদের দরবারে দৌড় দেয়।
এই আবালরা মনে করে
সমাধান সব গাঁজা বাবাদের কাছেই!!
ভক্তদের দান খয়রাতে গাঁজা বাবা, ভাণ্ডারী বাবারা কোটি টাকার মালিক, অথচ যাকাত দেয় না। গরীবদের সাহায্য করে না। রাষ্ট্রকে ইনকাম টেক্স দেয় না। দেশের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেন না। সব টাকা নিজেদের ভোগ বিলাসের পিছনে ব্যয় করে। সব সময় ভন্ডের দল ভাণ্ডারীই কোটিপতি হয়।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এসব ভন্ড পীরদের আস্তানা অত্যধিক বেশি। একই উপজেলায় কয়েকটা থেকে কয়েকশত মাজার আছে।
এই ভন্ডরা তাদের রবদের কবরগুলোকে ‘কবর’ বলে না; বলে ‘মাজার’। আর মূর্খ জনগণও বোঝে না যে যেটাই ‘নূন’ সেটাই ‘লবণ’।
এসব ভন্ড গাঁজা বাবা, বদনা পীরদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করতে হলে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান তাদের নিকট পৌঁছানো প্রয়োজন। প্রথমত মানুষের আকিদাহ পরিবর্তন করা গেলে এই গাঁজাবাবাদের ধর্ম ব্যবসায় এমনিতেই লালবাত্তি জ্বলবে।
ভক্তদের দান খয়রাতে গাঁজা বাবা, ভাণ্ডারী বাবারা কোটি টাকার মালিক, অথচ যাকাত দেয় না। গরীবদের সাহায্য করে না। রাষ্ট্রকে ইনকাম টেক্স দেয় না। দেশের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেন না। সব টাকা নিজেদের ভোগ বিলাসের পিছনে ব্যয় করে। সব সময় ভন্ডের দল ভাণ্ডারীই কোটিপতি হয়।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এসব ভন্ড পীরদের আস্তানা অত্যধিক বেশি। একই উপজেলায় কয়েকটা থেকে কয়েকশত মাজার আছে।
এই ভন্ডরা তাদের রবদের কবরগুলোকে ‘কবর’ বলে না; বলে ‘মাজার’। আর মূর্খ জনগণও বোঝে না যে যেটাই ‘নূন’ সেটাই ‘লবণ’।
এসব ভন্ড গাঁজা বাবা, বদনা পীরদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করতে হলে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান তাদের নিকট পৌঁছানো প্রয়োজন। প্রথমত মানুষের আকিদাহ পরিবর্তন করা গেলে এই গাঁজাবাবাদের ধর্ম ব্যবসায় এমনিতেই লালবাত্তি জ্বলবে।
আহ্! মানুষ যদি অন্তত সূরা ফাতিহার ৪ নং আয়াতের অর্থটুকুন বুঝত!!!অর্থাত্- যিনি দেয়ার মালিক, তাঁর কাছেই চাইতে হবে। তাহলে হয়তবা কথিত বদনা পীর ও গাঁজা বাবাদের ধ্বস পড়লেও পড়তে পারত!!!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভন্ডপীরদের রাহু থেকে মুক্ত করে পরিপূর্ণ ইসলামীক অনুশাসনে চলার তাওফীক দান করুক।
কিছু কবরপূজারী আছে
যারা কবরকে তাওয়াফ করে, কবরগাত্র চুম্বন করে, কবরে হাত
বুলায়, লাল শালুতে মাথা ঠেকিয়ে পড়ে থাকে, কবরের মাটি তাদের গা-গতরে মাখে, কবরকে সিজদা
করে, উহার সামনে মিনতিভরে দাঁড়ায়, নিজের উদ্দেশ্য ও অভাবের কথা তুলে ধরে। সুস্থতা কামনা করে, সন্তান চায় অথবা প্রয়োজনাদি পূরণ কামনা করে। অনেক সময় কবরে শায়িত
ব্যক্তিকে ডেকে বলে, বাবা হুযূর, আমি আপনার হুযূরে অনেক দূর থেকে হাযির হয়েছি। কাজেই আপনি আমাকে নিরাশ
করবেন না।
মৃত অলি-আউলিয়া
মানুষের অভাব পূরণ করেন, বিপদাপদ দূর করেন, তাঁদের
অসীলায় সাহায্য প্রার্থনা ও ফরিয়াদ করা যাবে ইত্যাকার কথা বিশ্বাস করা শিরক।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ
তোমার প্রভু
চূড়ান্ত ফয়ছালা দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ব্যতীত অন্য কারো
ইবাদত করবে না। [বনী ইসরাঈল ২৩]
অনুরূপভাবে শাফাআতের
নিমিত্তে কিংবা বালা-মুছীবত থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মৃত নবী-ওলী প্রমুখের নিকট দোআ
করাও শিরক।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
أَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاءَ الْأَرْضِ أَإِلَهٌ مَّعَ اللهِ-
বল তো কে নিঃসহায়ের
আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে আহবান জানায় এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করেন আর পৃথিবীতে
তোমাদেরকে পূর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেন? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোন ইলাহ
আছে? [নামল ৬২]
অনেকেই উঠতে, বসতে, বিপদাপদে পীর-মুরশিদ, অলি-আউলিয়া, ইত্যাকার মহাজনদের নাম নেয়া অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছে। যখনই তারা কোন
বিপদে বা সংকটে পড়ে তখনই বলে ইয়া আলী, ইয়া হুসাইন,
ইয়া বাদাভী, ইয়া জীলানী, ইয়া শাযেলী, ইয়া রিফাঈ, ইয়া বাবা ভাণ্ডারী।
কেউ যদি ডাকে আইদারুসকে তো অন্যজন ডাকে মা যায়নাবকে, আরেকজন
ডাকে ইবনু উলওয়ানকে।
অথচ আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ
আল্লাহ ব্যতীত আর
যাদেরকে তোমরা ডাক তারা তোমাদেরই মত দাস । [আরাফ ১৯৪]
কিছু কবরপূজারী আছে
যারা কবরকে তাওয়াফ করে, কবরগাত্র চুম্বন করে, কবরে হাত
বুলায়, লাল শালুতে মাথা ঠেকিয়ে পড়ে থাকে, কবরের মাটি তাদের গা-গতরে মাখে, কবরকে সিজদা
করে, উহার সামনে মিনতিভরে দাঁড়ায়, নিজের উদ্দেশ্য ও অভাবের কথা তুলে ধরে। সুস্থতা কামনা করে, সন্তান চায় অথবা প্রয়োজনাদি পূরণ কামনা করে। অনেক সময় কবরে শায়িত
ব্যক্তিকে ডেকে বলে, বাবা হুযূর, আমি আপনার হুযূরে অনেক দূর থেকে হাযির হয়েছি। কাজেই আপনি আমাকে নিরাশ
করবেন না।
অথচ আল্লাহ বলেন,
وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لاَّ يَسْتَجِيْبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُوْنَ-
তাদের থেকে অধিকতর
দিকভ্রান্ত আর কে আছে, যারা আল্লাহ ব্যতীত এমন সব উপাস্যকে ডাকে যারা
ক্বিয়ামত পর্যন্তও তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। অধিকন্তু তারা ওদের ডাকাডাকি
সম্বন্ধে কোন খবর রাখে না। [আহক্বাফ ৫]
রাসূলুল্লাহ [সা.]
বলেছেন,
مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ
ব্যতীত অন্যকে তার সমকক্ষ বা অংশীদার মনে করে তার নিকট দোআ প্রার্থনা করে, আর ঐ অবস্থায় মারা
যায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [বুখারী হা/৪৪৯৭।]
কবরপূজারীরা অনেকেই
কবরের পাশে মাথা মুন্ডন করে।[আমাদের দেশে শিশুদের মাথার চুল মাযারের নামে মানত
করার নিয়ম চালু আছে। নির্দিষ্ট দিনে মাযারে গিয়ে এই চুল মুন্ডন করা হয়, যা শিরকের
অন্তর্ভুক্ত-অনুবাদক।] তারা অনেকে মাযার যিয়ারতের নিয়মাবলী নামের বই সাথে রাখে।
এসব মাযার বলতে তারা ওলী-আউলিয়া বা সাধু-সন্তুদের কবরকে বুঝিয়ে থাকে। অনেকের
আবার বিশ্বাস, ওলী-আউলিয়াগণ সৃষ্টিজগতের উপর প্রভাব
খাটিয়ে থাকেন, তাঁরা ক্ষতিও করেন; উপকারও করেন।
অথচ আল্লাহ বলেন,
وَإِنْ يَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلاَ كَاشِفَ لَهُ إِلاَّ هُوَ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلاَ رَآدَّ لِفَضْلِهِ-
আর যদি আপনার প্রতিপালক আপনাকে কোন
অমঙ্গলের স্পর্শে আনেন, তবে তিনি ব্যতীত অন্য কেউ উহার বিমোচক নেই। আর যদি তিনি
আপনার কোন মঙ্গল করতে চান, তাহলে তাঁর অনুগ্রহকে তিনি
ব্যতীত রুখবারও কেউ নেই (ইউনুস ১০৭)।একইভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে মানত করাও
শিরক। মাযার ও দরগার নামে মোমবাতি, আগরবাতি মানত করে
অনেকেই এরূপ শিরকে জড়িয়ে পড়ছে।
ধর্ম বিশ্বের আজ করুণ
অবস্থা; একদল ধর্মভীরু কিংবা
ধর্ম্যান্ধ (ধর্মপ্রান নন), ২য় দল মাজার (কবর) পুজারী আর ৩য় দল জনগণ,গণজন প্রতারী।
No comments:
Write comments