পন্ডিতপ্রবরদের গণবিরোধী কর্মকান্ড
তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে আধুনিক হওয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে সবাই আধুনিক হওয়ার প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারে না। আধুনিক হতে হলে ঐতিহ্য ও স্বকীয় সংস্কৃতির লালনসহ যে মননশীলতা প্রয়োজন সে সম্পর্কে সচেতনতার অভাবই ওদের ব্যর্থতার কারণ। এ ক্ষেত্রে যাদের দৈন্য রয়েছে তারা ধর্মের মর্মবাণী ও বিধিবিধানের গুরুত্ব এবং সৌন্দর্য উপলব্ধিতেও অক্ষম। এরাই নারীদের হিজাব পালনের বিষয়টিকে আধুনিকতার বিপরীত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন, এরাই কোন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্রষ্টার বাণী পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াতকে যথার্থ বলে মনে করেন না। অথচ হিজাব এ দেশের নারীদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মৌল বিষয়। কোন অনুষ্ঠানের আগে কুরআন তেলাওয়াতও এ দেশের মানুষের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, হিজাব ও কুরআন তেলাওয়াতের বিপক্ষে কোন গন্ডমুর্খ মানুষ অবস্থান নেয়নি, কোন বিধর্মীও অবস্থান নেয়নি। হিজাব ও কুরআন তেলাওয়াতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কোন কোন তথাকথিত মুসলিম পন্ডিত ব্যক্তিই। এদের একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি, অন্যজন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতপ্রবর হিজাব নিষিদ্ধ করার মত স্পর্ধা দেখালেন, আর গভর্নরপ্রবর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে অনুষ্ঠান শুরু করালেন রবীন্দ্র সঙ্গীতের মাধ্যমে। এভাবে সরকার ও সরকারি ঘরানার প্রশ্রয়ে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিরোধী ভূমিকা রাখলেন দেশের দুই পন্ডিত প্রবর। গণবিরোধী এসব উন্নাসিক মানুষ সব সময় মানুষের ঘৃণাই কুড়ায়। সংক্ষুব্ধ মানুষ তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছে। সরকার এখন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষক প্রবর কি একথা জানেন না যে, ধর্মীয় বিধিবিধান পালন মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকারে তো তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। মাদার তেরেসা সম্পর্কে তিনি কী বলবেন? এই ঘরানার শিক্ষকরা তো মাদার তেরেসার গুণগানে পঞ্চমুখ। কিন্তু মাদার তেরেসাতো তাদের ধর্মীয় পোশাক তথা হিজাব ধারণ করেই মাদার তেরেসা হয়েছেন। তাহলে বাংলাদেশের মেয়েরা হিজাব ধারণ করলে তা অপরাধের বিষয় হবে কেন? আর কোন অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দেশে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের যে নিয়মটি চালু হয়েছে তার প্রধান কারণ দুটি। এর একটি হলো- পবিত্র কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, আর অপরটি হলো- কুরআনের নির্ভুল জ্ঞান থেকে উপকৃত হওয়া। তাই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নব্য গভর্নর গণমানুষের এই সাংস্কৃতিক চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিলেন কেন? গণমানুষের চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে তিনি নিজে যেমন নিন্দিত হলেন, তেমনি অযথা এক বিতর্কের মুখে ঠেলে দিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। অথচ এ দেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকে। তথাকথিত এসব পন্ডিতরা আসলে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ নন। চাটুকারিতা করতে গিয়ে, পোষণ করতে গিয়ে এরা ভুল পথে চলেন। এ জাতীয় পন্ডিতদের উদ্দেশেই হয়তো বলা হয়েছে, ‘পন্ডকর্মে পক্ক যারা তারাই হলেন পন্ডিত প্রবর।' এ ধরনের পন্ডিত-প্রবরদের দেশ ও জনগণের কোন প্রয়োজন আছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রী একবার ভেবে দেখতে পারেন।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, হিজাব ও কুরআন তেলাওয়াতের বিপক্ষে কোন গন্ডমুর্খ মানুষ অবস্থান নেয়নি, কোন বিধর্মীও অবস্থান নেয়নি। হিজাব ও কুরআন তেলাওয়াতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কোন কোন তথাকথিত মুসলিম পন্ডিত ব্যক্তিই। এদের একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি, অন্যজন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতপ্রবর হিজাব নিষিদ্ধ করার মত স্পর্ধা দেখালেন, আর গভর্নরপ্রবর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে অনুষ্ঠান শুরু করালেন রবীন্দ্র সঙ্গীতের মাধ্যমে। এভাবে সরকার ও সরকারি ঘরানার প্রশ্রয়ে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিরোধী ভূমিকা রাখলেন দেশের দুই পন্ডিত প্রবর। গণবিরোধী এসব উন্নাসিক মানুষ সব সময় মানুষের ঘৃণাই কুড়ায়। সংক্ষুব্ধ মানুষ তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছে। সরকার এখন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষক প্রবর কি একথা জানেন না যে, ধর্মীয় বিধিবিধান পালন মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকারে তো তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। মাদার তেরেসা সম্পর্কে তিনি কী বলবেন? এই ঘরানার শিক্ষকরা তো মাদার তেরেসার গুণগানে পঞ্চমুখ। কিন্তু মাদার তেরেসাতো তাদের ধর্মীয় পোশাক তথা হিজাব ধারণ করেই মাদার তেরেসা হয়েছেন। তাহলে বাংলাদেশের মেয়েরা হিজাব ধারণ করলে তা অপরাধের বিষয় হবে কেন? আর কোন অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দেশে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের যে নিয়মটি চালু হয়েছে তার প্রধান কারণ দুটি। এর একটি হলো- পবিত্র কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, আর অপরটি হলো- কুরআনের নির্ভুল জ্ঞান থেকে উপকৃত হওয়া। তাই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নব্য গভর্নর গণমানুষের এই সাংস্কৃতিক চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিলেন কেন? গণমানুষের চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে তিনি নিজে যেমন নিন্দিত হলেন, তেমনি অযথা এক বিতর্কের মুখে ঠেলে দিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। অথচ এ দেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকে। তথাকথিত এসব পন্ডিতরা আসলে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ নন। চাটুকারিতা করতে গিয়ে, পোষণ করতে গিয়ে এরা ভুল পথে চলেন। এ জাতীয় পন্ডিতদের উদ্দেশেই হয়তো বলা হয়েছে, ‘পন্ডকর্মে পক্ক যারা তারাই হলেন পন্ডিত প্রবর।' এ ধরনের পন্ডিত-প্রবরদের দেশ ও জনগণের কোন প্রয়োজন আছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রী একবার ভেবে দেখতে পারেন।