Flickr

Sunday, 27 April 2008

আমি খুব নিরুপায়

আমি খুব নিরুপায়


হৃদয়ে ভাঙনের শব্দ অতীত হয়ে গেছে,
মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে বন্ধ নেই হাহাকার,
চোখের জলে এতো তৃষ্ণার আয়োজন,
গভীর ঘুমে শান্ত বেদনার ধূসর পৃথিবী
আমি খুব নিরুপায় ।
অনেক মাপযোগ করেছি সীমান্ত,
বিরাণ মেঘের ভেতরের অবুঝ জলকণা।
অভিমানে নিয়ে গেছ কত স্বপ্ন সম্ভার,
মেতেছিলাম নিবিড় এক সবুজ বুকে,  
সবকটি শীতল বাঁকে উষ্ণ প্রস্রবনে,
উজ্জ্বল যৌবনে, অবিরাম কোলাহলে।
কতোটা বিষাদ শ্রাবণে দেহচিরে দেখব
রক্ত – মাংসের পিন্ড
বোবাদৃষ্টিতে তাকিয়ে রোদ ও বৃষ্টির গন্ধ,
তৃষ্ণার গোধূলি তোমার বক্ষে,
খুলে দিলেই ছায়ায় হারায় নিমন্ত্রণ।

Wednesday, 23 April 2008

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিবস্ত্র ছাত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের আলমারি থেকে বিবস্ত্র ছাত্রী উদ্ধার, স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে দপ্তরীর কাছে শিশু ধর্ষিতা, সহপাঠীর সামনেই চাচা কর্তৃক ভাতীজি ধর্ষিতা..আরও বহু বহু-যারা ভাবছেন এগুলো ধর্ষকদের অভয়াশ্রম ও ধর্ষণের তীর্থভূমি ভারতের ঘটনার কথা বলছি তারা সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন । উপরোক্ত ঘটনাগুলো আজকের বাংলাদেশের ঘটনা । আমাদের সোনার দেশটি দিনে দিনে নারীদের নিরাপত্তার বিপরীতে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হচ্ছে । যে পুরুষরা নারীদের নিরাপত্তার চাদর হবে তারাই আজ নারীদের কাছে মূর্তমান আতঙ্ক । কে কার কাছে নিরাপদ ? বাবার কাছে মেয়ে নয় কিংবা ভাইয়ের কাছে বোন । ণ্যূনতম বিবেক বোধটুকু খুইয়ে আজ আমরা পশুদের সারিতে দাঁড়িয়েছি । বন্য পশুর যেমন কোন বাছ-বিচার নাই তেমনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষও আজ অধঃপতের চরম সীমায় পৌঁছেছে । হয়ত অধঃপতনের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হবে কিন্তু ততোটা অনুমান করার সাহস আপতত জোগাতে পারছি না । দিনে দিনে পশুর চেয়েও জঘন্য জীবে মানুষ পরিণত হচ্ছে কেননা পশুরা আর যাই করুক অন্তত জোড়পূর্বক বলৎকার করে না । অথচ মানুষ দিন দিন পশুকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলছে আরও জঘন্য-ঘৃণ্য বিপর্যয়ের দিকে ।


ব্যক্তিগত বিশ্বাস, দেশে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তার মাত্র ৫-১০ ভাগও প্রকশ্যে আসে না । যা আসে তাতেই দেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে ফেলে । নিত্যদিনের নতুন নতুন ধর্ষণের খবর পূর্বদিনের ঘটনার ভয়াবহতা-বিভৎসতা ভুলিয়ে দেয় । সকল ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে কিভাবে ? বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অর্থের বিনিময়ে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় গলিয়ে অপরাধী ঠিকই পাড় পেয়ে যায় এবং সমাজে বুক ফুলিয়ে চলে । অথচ ধর্ষিতা মেয়েটিকে মানুষের স্বীকৃতি দিতেই সমাজ নারাজ । রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলোও যখন ধর্ষিতা মেয়েটিকে সহজভাবে নেয়না তখন জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া অসহায় মেয়েটির আর কি উপায় থাকে ? তাইতো মেয়েটি আপন কিংবা পর দ্বারা উপর্যপুরি ধর্ষিতা হয়েও বুকে পাথর চাপিয়ে তা লুকিয়ে রাখে । ধর্ষণের ব্যথা লুকিয়ে প্রাণে বেঁচে থাকা যায় কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়ে পরিবার-সমাজে বেঁচে থাকা নারীর জন্য সম্ভব কি ? আমরা যে পাল্লা দিয়ে ধর্ষকের চেয়ে ধর্ষিতাকে বেশি ঘৃণা করি !


এতদিন শুধু প্রাপ্ত বয়স্কাদের ধর্ষিতা হতে শোনা যেত কিন্তু ইদানীং ধর্ষণের যে ঘটনাগুলো আলোতে আসছে তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ধর্ষিতা ছোট্ট শিশু-যে জানেই না ধর্ষণ কি । অথচ আপন কিংবা কাছের কিছু পুরুষাকৃতির জঘন্য মানসিকতার কুলাঙ্গার দ্বারা রক্তাক্ত হয়ে পৃথিবীর সকল পুরুষদের সম্পর্কে নেতিবাচক বিশ্বাস এবং চরম হিংসা নিয়ে তারা বেড়ে ওঠছে । কেউ কেউ আপন কিংবা রক্তের সম্পর্কের পুরুষগুলোকেও দানবের মত ভয় করতে শুরু করে এবং নিজেকে গুটিয়ে রাখে । যে বয়সে কোমলমতি কিশোরীর ধ্যান-জ্ঞানে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের ধারণা গঠিত হওয়ার কথা তখন তার মনে বাসা বাঁধে চরম ক্ষোভ, ভালোবাসার বিপরীতে তীব্র ঘৃণা ।


সমাজের গুটিকয়েক পশুর জন্য গোটা সমাজ আজ কলঙ্কের বোঝা বইবে কেন ? এক শিক্ষকের দায় আজ সমগ্র শিক্ষক সমাজকে বইতে হচ্ছে । শিক্ষক যখন ছাত্রছাত্রীদের সামনে পাঠ দান করেন তখন কলঙ্কিত শিক্ষকের সহকর্মী হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষক যেমন হীনমন্যতায় ভূগছেন তেমনি প্রতিটি ছাত্রী তার শিক্ষককে যদি কোনভাবে ধর্ষক শিক্ষকের আসনে বসায় তবে সেখান থেকে কি ধরণের শিক্ষা আসা করা যায় ? চাচা-ভাতীজির মত পবিত্র সম্পর্ককে যে কুলাঙ্গার অপবিত্র করেছে তাকে কি শাস্তি দিলে সেটা যথার্থ হবে তা ভেবে পাই না । বান্ধবীদের সাথে কথা বলতে কিংবা তাদের মূখ দর্শন করানোর সময় নিজেকে ধর্ষকের স্বজাতির মনে হলে নিজেকে গুঁটিয়ে নিতে হয় । কতদিন আর এভাবে ? নৈতিক বিবেকবোধ জাগ্রত হওয়ার জন্য আর কতটা প্রহর গুনতে হবে ? ধর্ষককে আইন কিংবা রাষ্ট্র শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলেও আমরা যেন হাত গুটিয়ে বসে না থাকি । অন্তত ধর্ষকেদের সামাজিকভাবে বয়কট করে তাদেরকে একঘরে করে রাখাটা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী । অন্তত নিজেদের সূস্থ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার খাতিরে আমরা কি এ কাজটুকু করতে পারবো না ?

Tuesday, 22 April 2008

নিঃসঙ্গতার গান

নিঃসঙ্গতার গান



দিনটি ছিল খুব শুষ্ক
রাত্রিটি ছিল ভীতিকর,
সঙ্গে ছিল একাকী স্বপ্ন ও চিন্তাধারা,
চোখের অশ্রুতে যত দু:খ ভরা।
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
মরুভূমিতে বেড়ে উঠা ফনিমনসা গাছের মত অনুভুতি,
জলের অভাবে কাঁটা হয়ে বেড়ে উঠা তার পাতা,
যেমনটি আমার মন নিঃসঙ্গতায় দিনের পর দিন।
হাতে হাত রেখে তোমার নিঃসঙ্গতাকে পাঠিয়েছিলাম বনবাস,
কান্নার জল মুছে দিয়ে তোমাকে করেছি স্পর্শ,
তোমার সবটুকু জল নিয়ে জীবন আমার তপ্ত মরুভুমি,
আমিও ফনিমনসা গাছের মত বেড়ে উঠছি,
একাকী ও নিঃসঙ্গ হয়ে।
ভালো লেগেছিল একটি বড় বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ
যেখানে সদ্য টিউলিপ ফোঁটা বাগানের হাতছানি ডাক,
সেই বাগানে পোকা মাকড়ের বসত, আর আমি বিভূঁই,
সবকিছু উজার করেও আমি এই পৃথিবীর কারো নই,  
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
দিগন্ত শেষে যেখানে সূর্যের ঠিকানা, সূর্য সেখানে একাকী,
এতো আলো পেয়েও তৃপ্তি নেই এই ধরিত্রীর,
চাঁদ পেয়ে ভালো লাগেনা সূর্যের সঙ্গ,
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো লেগেছিল অপার সাগরে একটি অতি ক্ষুদ্র ভাসমান দ্বীপ
ভালো লেগেছিল একটি বাতিঘর, একটি অজানা উপকূল
দিক পেয়ে কুলে আসি, কুল নেয় না কাছে তাই সাগরে ভাসি,
আমি একলা, বুঝিনি এই অজানা উপকূলের রঙ্গ,
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো লাগত সামুদ্রিক বড় ডানার চন্দ্র পাখী,
দেখত যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খুলে তার আঁখি,
ঈশ্বরের নির্দয়ে জীবন আঁখি বন্ধ,
আমি তার মত একাকী, আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো হত যদি, একটি ঘুম হত বিশ্বের সকল অনিদ্রারোগীর
ভেঙ্গে যেত অজানা মরুভূমির বালি ঝড়ের অজানা প্রাচীর,
ভালো হত পেয়ে যদি পূর্ণিমার চাঁদের আভা,
ফিরে যেত সুখনীরে অসুখী পেচক চন্দ্রপ্রভা।
আমার জীবন সুখ যেখানে রণে ভঙ্গ,
সেখানে আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
সবকিছু লাগে যেন ফাঁকা, আজ আমি বড়ই একা,
ছেড়ে আসি পৃথিবীর যত সব মায়াবী বন্ধন,
একাকীত্ব আমার বন্ধু এখন,
নিঃসঙ্গতায় আজীবন আলিঙ্গন।
কেউ মোরা কেউ কারো নই, ভুলে করি মিলনের প্রার্থনা,
বন্ধন কভু অটুট হয় না, মেনে নিই একাকীত্বের যন্ত্রণা।

Tuesday, 8 April 2008

কেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না ?

প্রাচীন কাল থেকেই ঈশ্বর আছে কি নেই এটা নিয়ে বিতর্ক চলছে যা আজও মহা সমারোহে চলমান। তবে মনে হয় এই বিতর্কের অবসানটা জরুরী। তা না হলে দুনিয়ার একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ খামোখাই তাদের মেধা শ্রম অর্থ এর পিছনে ব্যয় করে সমাজে একটা অনাসৃষ্টি তৈরী করছে। 
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter