প্রাচীন
কাল থেকেই ঈশ্বর আছে কি নেই এটা নিয়ে বিতর্ক চলছে যা আজও মহা সমারোহে চলমান। তবে মনে
হয় এই বিতর্কের অবসানটা জরুরী। তা না হলে দুনিয়ার একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ খামোখাই
তাদের মেধা শ্রম অর্থ এর পিছনে ব্যয় করে সমাজে একটা অনাসৃষ্টি তৈরী করছে।
কেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না ?
প্রথমত : ধারনা ও বিশ্বাস অনুসারে ঈশ্বরের অসাধ্য কিছুই নেই। তাই যদি হয় তাহলে ঈশ্বর কি এমন কোন পাথর সৃষ্টি করতে পারে যে সে নিজেই তুলতে পারবে না ? এর উত্তর যদি হয় হ্যা , তাহলেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকে না , উত্তর না হলেও তার কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না। যদি উত্তর হ্যা হয় , তাহলে সে সেই পাথর তুলতে অক্ষম যা তাকে ঈশ্বর করে তুলবে না , যদি উত্তর না হয় তাহলে তো সে সরাসরি অক্ষম যা তার ঈশ্বরত্ব ঘুচিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত: ধারনা ও বিশ্বাস মোতাবেক ঈশ্বর সব জান্তা , সবকিছুর অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যত জানে। শুধু তাই নয় , ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টিরও বহু আগে সব কিছুর ভাগ্য নির্ধারন করে রেখেছে। প্রতিটা ধর্মই একথা স্বীকার ও বিশ্বাস করে। এমতাবস্থায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব চুড়ান্তরকম ভাবে বিরক্তিকর হয়ে যাবে। অর্থাৎ ঈশ্বর নিজেই নিজের কাছে একটা বিরক্তিকর অস্তিত্ব আকারে দেখা দেবে। উদাহরন - কোন খেলার ফলাফল যদি আমরা আগেই জেনে বসে থাকি , সেই খেলা দেখার আগ্রহ আমরা হারিয়ে ফেলি, বা দেখলেও সেটা হবে বিরক্তিকর। সুতরাং মহাবিশ্বের সব খেলার ফলাফল যদি ঈশ্বর আগেই নির্ধারন করে বসে থাকে বা জেনে বসে থাকে , তাহলে সেইসব খেলা চালানোর বা দেখার কোনই অর্থ হয় না। তাতে কোন আনন্দ নেই, বিরক্তি উৎপাদন ছাড়া। ঈশ্বর এমনভাবে নিজেই নিজের কাছে বিরক্তিকর সত্ত্বা হতে পারে না।
তৃতীয়ত: এ বিশ্বাস বহুল প্রচলিত যে ঈশ্বরের কোন আকার ও আয়তন নেই। এটা যদি সত্য হয় , তাহলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব শুন্যেই বিরাজমান হবে। শুন্যেই বিরাজমান ঈশ্বর যদি গোটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে পারে , তাহলে ঈশ্বর ছাড়াই শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কেন সৃষ্টি হতে পারবে না ? সে ক্ষেত্রে ঈশ্বর থাকা বা না থাকার কোনই অর্থ বহন করে না।
No comments:
Write comments