Flickr

Saturday, 26 September 2009

নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন

অজস্র সৌন্দর্যের ভা-ার এ পৃথিবী। আর এসব সৌন্দর্য যাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে তারা হলো সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কারণ মানুষ এ অপার সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করতে জানে। তবে সে মানুষ শিক্ষার দ্বারা, জ্ঞানের দ্বারা নিজেকে আলোকিত ও বিকশিত করতে পারে। যারা প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলোকিত নয় তারা মানুষ বটে তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আর যারা জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজের আত্মাকে বিকশিত করে না তারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

 এমনই একটি প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ এলাকা হলো টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানা। এ এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থার তেমন বিশেষ উন্নয়ন এখানে লক্ষ্য করা যায় না। যদিও বেশ কিছু বিল্ডিং এখানে স্কুল-কলেজ নামে সুসজ্জিত রয়েছে। তবে এখানে প্রকৃত শিক্ষার আলো নেই।

এখানকার প্রাইমারি স্কুলগুলোতে বাচ্চারা কেবল মুখস্থ বিদ্যা শেখে। অর্থাৎ বইয়ের পাতায় ছাপা অক্ষরগুলো কেবল আত্মগোচর করে কিন্তু এর অর্থ তারা বোঝে না। তারা শিখে ক্লাস রুম ঝাড়ু দেয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চা, পান, বিস্কিট এগুলো এনে দেয়া। অথচ তাদের কাছে যদি পাঠ্য বইয়ের একটি ইংরেজি কবিতার অর্থ জানতে চাওয়া হয়, উত্তরে তারা জানায় 'মেডাম তো শিখায় নাই কা'।

প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষায় চারু ও কারুকলা নামে একটি পরীক্ষার উল্লেখ থাকলেও অবাক হওয়ার বিষয় এটাই যে, এ পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের চিত্রাঙ্কন বা এ জাতীয় কিছু নেয়া হয় না। এ পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের ঝাড়ু, কুলা, দড়ি, চালা এসব কিনে দেয় এবং যে যতো দামি জিনিস দেবে তার নাম্বার ততো বেশি হবে এবং পরীক্ষা শেষে শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে এসব জিনিস ভাগ করে নেন।

 প্রকৃত অর্থে আমরা যারা এ সমাজে বসবাস করি তারা কেউই প্রতিবন্ধী নয়। সবাই কেবল প্রতিবন্ধী সেজে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। আর আমাদের এ দায়িত্বহীনতার মাশুল দিতে হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। তারা সত্যি সত্যিই প্রতিবন্ধী হয়েই বেড়ে উঠেছে।

 তাই সমাজের সুস্থ সবল এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা দায়িত্ব এড়িয়ে না গিয়ে, নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন এবং আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ সাবলীল জীবন গড়ে  দিন। যারা প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে এবং জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সুস্থ চিন্তা চেতনাকে বিকশিত করবে।

Wednesday, 9 September 2009

বাদুড়ঝোলা যাতায়াত ব্যবস্থা

বাড়ছে মানুষ, সেই সঙ্গে বাড়ছে শহরগামী লোকদের ভিড়। রাজধানী শহর ঢাকাতে এখন প্রায় এক কোটি লোকের বসবাস। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন আমরা রাস্তায় নামি এবং অবধারিতভাবে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকারে পরিণত হই। সময় মতো বাস, রিকশা কিছুই পাওয়া যায় না। বাদুড়ঝোলা হয়ে জীবন হাতে নিয়ে চলাফেরা করাটাই যেন আমাদের নিয়তি।

 আশপাশের জেলাগুলো থেকে প্রচুর লোক প্রতিদিন ঢাকায় আসে, অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের আসতে হয়। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার এমনকি নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ থেকেও কর্মজীবীরা প্রতিদিন ঢাকায় আসেন। তাদের নির্ভর করতে হয় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ওপর। কিন্তু পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিরাজমান অনিয়ম ও নৈরাজ্য মানুষের জীবনকে ভোগান্তিময় ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি লোকের বসবাস এবং আনাগোনা এ ঢাকা মহানগরীতে। টাউন প্ল্যানিংয়ের ফর্মুলা অনুসারে যতোটুকু রাস্তা থাকা দরকার ছিল তার সিকিভাগও নেই এ শহরে। তাই পিক আওয়ারে সবাই রাস্তায় নামলে প্রাইভেট কার, বাস, রিকশা ইত্যাদিতে রাস্তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়, গাড়ি চলার জায়গা থাকে না। অবশ্যম্ভাবী ফলাফল ট্রাফিক জ্যামে নষ্ট হয় মহামূল্যবান সময়।

 মনো রেল, পাতাল রেল, ফ্লাইওভার ইত্যাদি বড় ধরনের স্বপ্নবিলাসী পরিকল্পনার কথা শোনানো হয় আমাদের। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। শুধু সমন্বয় সাধন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখলেই বর্তমান পরিস্থিতির অনেক উন্নতি ঘটানো সম্ভব। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনারও দরকার আছে। কিন্তু সবার আগে দরকার বিদ্যমান লোকবল ও রাস্তার সুষ্ঠু ব্যবহার।

 রাজধানীর ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমে শৃঙ্খলা আনার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কখনো বেবি ট্যাক্সি বা স্কুটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কখনো বা রুট পারমিট প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিত্তশালীদের চলাফেরার সুবিধার্থে কিছু রোড রিকশামুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ঢাকার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমে শৃঙ্খলা আনার নামে সব সময় কিছু নির্দিষ্ট মহলের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টাই করা হয়েছে। এর কুপ্রভাবে নাগরিক জীবন বিষময় হয়ে উঠেছে।

 বিআরটিসির বাস সংখ্যা, বিশেষত দোতলা বাস বাড়ানো হলে নগরীর যানজট অনেক কমবে, যাত্রীরা উপকৃত হবে। কালো ট্যাক্সি ক্যাবগুলোর অবস্থা শোচনীয়ই বলা চলে। এ ধরনের ভাঙাচোরা ট্যাক্সি ক্যাব শুধু নগরীর সৌন্দর্যই নষ্ট করছে না, এতে চলাচলে মানুষের জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। রাজধানীতে চলাচলের অনুমতি দেয়ার আগে যানবাহনগুলোর ব্যাপারে দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি মানুষের জীবনের জন্য নিরাপদ কি না এবং তা নগরীর যানজট দূরীকরণে সহায়ক কি না। এছাড়া পরিবেশের বিষটিকেও প্রাধান্য দিতে হবে।

 আমরা আশা করবো, সরকার রাজধানীর যানবাহন ব্যবস্থায় একটি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং নগরীর যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলবে।

Thursday, 3 September 2009

নিঃশ্বাসে শূন্যতা

নিঃশ্বাসে শূন্যতা

 
প্রত্যেকটা ভালোবাসা কিছু শূন্যতা উপহার দেয়,
কাছে এসেছিলে, তাই হয়তো বুঝতে পেরেছি,
সবুজ বনভূমি শীতের আগমনে কেমনটি মর্মর হয়!
তোমার যাওয়া ও আসার মাঝের সময়টুকুতে
নির্মোহ এই বনভুমিতে বসন্ত এসেছিলো।
আমার সাথে এখন আর কোনো ঋতু নেই,
আমার ভিতরে, বাহিরে, আকাশে, পায়ের তলায়
বসন্তের আসার আর কোন সম্ভাবনা নেই, আমি
এখন আকাশের রঙ বদলানো খেলা দেখে যাই।

একটুকরো নিঃশ্বাসে আগুনের ফুলকি ছড়াল,
শাখা প্রশাখা মেলেছে বছরের পর বছর,
দাবালনের নিত্য নতুন সংবাদ শুনে বিমর্ষ হও,
যে আগুন জ্বালিয়েছ নিজের অজান্তে,
কাছে এলে হয়তো শুনতে পাবে,  
সারা জীবন ধরে আগুনের যজ্ঞ চলেছে অজ্ঞাতবাসে।
কোন ছায়ায় তুমি পা ভিজিয়ে রাখো? নির্ভুল রোদ্দুরের মাঝে,
কোন সকাল তুমি দেখ? সাদা,হলদে,কিংবা লাল?
আমার পিছনে সামনে পাশে কেউ নেই, ছিল না কস্মিনকালেও
তোমাকে আমি কখনো বলিনি,
যৌবনে যে সত্য তোমাকে ভাবায়নি।
সারারাত্রি পৃথিবীকে সেই গল্প শুনাও।

Wednesday, 2 September 2009

দখল ও দূষণ মুক্ত হোক

একটি শহরের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে লেকের অবদান অপরিসীম। ঢাকার বুকেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কয়েকটি লেক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে লেকগুলোর দখল ও দূষণের মাত্রাও তীব্রভাবে বেড়ে চলেছে। দখলের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাজধানীর লেকগুলো। গুলশান লেকের বেশ কিছু জায়গায়ই ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে। জায়গা দখল করে বহুতল ভবন, টিনশেড ঘর, বসত্মি তৈরি করা হয়েছে।
বিপুল জনসংখ্যার নগরী ঢাকা। পরিবেশ বিপর্যয়সহ নানা কারণে ঢাকা দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। প্রশস্ত রাস্তা নেই, খেলার মাঠ নেই, উদ্যান নেই, প্রয়োজনীয় জলাশয় নেই। নদী-নালা সব দখলদূষণে পরিত্যক্ত প্রায়। এ অবস্থায় এখানে জীবন ধারণ করাই কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া আমাদের টিকে থাকা দায়। এ কারণে নিজেদের স্বার্থেই রাজধানীর জলাশয়গুলো বাঁচিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি দখলদারিত্বে মেতে থাকি তাহলে এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিণাম কী হবে একবার ভেবে দেখা দরকার।

  
ভূমি আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়া ভূমিদস্যুরা যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করার সুযোগ না পায়, সেই লক্ষ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনের যুগোপযোগী সংস্কার সাধনের পাশাপাশি অপরাধীদের বিচার ও কঠোর শাস্তি বিধান ছাড়া এই অনাচার হতে দেশ মুক্ত হবে না। এ জন্য দখলদারিত্ব বন্ধে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দখলের প্রশ্নে কোন আপস বা নতি স্বীকারের সুযোগ নেই। অনিয়ম, দুর্নীতি সহ্য করাও হবে আত্মঘাতী। দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তারা সংখ্যায় কম। গুটিকয়েক মানুষের স্বার্থ হাসিলের জন্য বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গুলশান লেক পুনরুদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে, আমরা তেমনটাই প্রত্যাশা করি।
 রাজধানীর প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে কয়েক বছর আগে লেকগুলো সংস্কারের মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। লেক খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু মহাপরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যে উৎসাহ কাজ করে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার দেখা পাওয়া ভার। রাজধানীর লেকগুলোর অন্যতম উত্তরা লেক। এ লেকটির আধুনিকীকরণের ৭৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প সরকার ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধানম-ি লেক আধুনিকায়নে নেয়া ২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ এখন রয়েছে চলমান অবস্থায়। গুলশান-বারিধারা লেকের আধুনিকায়নে ৪১০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। কিন্তু কোনো কাজেরই সমন্বয় নেই। সিটি করপোরেশন, রাজউক এবং ওয়াসার মধ্যে কাজের সমন্বয় না থাকায় এ খাতে ব্যয়িত কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যেতে পারে_ এমন আশঙ্কাও কম নয়। রাজধানীর প্রাকৃতিক লেকগুলো বাঁচাতে হলে দখল ও দূষণের আগ্রাসন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। দূষণের হাত থেকে রক্ষার বদলে রাজধানীর বর্জ্যের একটা বড় অংশ পড়ছে লেকগুলোতে। সবক'টি লেকের পানি এতই বিবর্ণ ও দুর্গন্ধ যে, সেগুলো মূলত মশক উৎপাদনের কারখানা হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।

 ধানম-ি লেকের পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা দীর্ঘ সময়েও সংস্কার করা হচ্ছে না। প্লাস্টিকের বোতল, ফোম, ছেঁড়া ময়লা জুতাসহ অন্যান্য দ্রব্য লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। উত্তরার ৩, ৫, ৭ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের সংযোগস্থলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকটি উত্তরা মডেল টাউনের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করে। বর্তমানে লেকটি দূষণাক্রান্ত। লেকটির কিছু অংশে যুক্ত হয়েছে স্যুয়ারেজ লাইন, নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। ঢাকার লেকগুলোর একটি গুলশান-বারিধারা লেক। লেকটি প্রাকৃতিকভাবে ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ করে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও আইনের আওতায় ২০০১ সালে লেকটিকে পরিবেশগতভাবে নাজুক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

 রাজধানীর তিনটি প্রধান লেকসহ সব জলাধার সংরক্ষণে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। দেড় কোটি মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থে দূষণ ও দখলের কবল থেকে নদী, খাল ও লেকের সংরক্ষণে শুধু আইনগত পদক্ষেপ নয়, সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলা দরকার।


Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter