Flickr

Friday, 27 April 2012

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীনতায় বিপন্ন মানুষ

Posted by   on

একমাত্র ন্যায়নীতি ও আইনের শাসনই দেশ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ফল ও মাছে কেমিকেলের মিশ্রণ রোধ ও অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর জন্য পাশ্চাত্য দেশ জাপান. থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় যেতে হবে না, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই বোধোদয় হবে। এর ফলে দেশের মানুষ খাঁটি খাদ্যদ্রব্য প্রকৃত মূল্যে কিনতে পারবেন, নিরাপদ জীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে সক্ষম হবেন।

বাংলাদেশে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, তার ব্যাপকতা এত বেশি যে ভোক্তাশ্রেণীকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এতই আকস্মিক যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রেতা পরিস্থিতির শুধু শিকার নয়, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ উন্মুক্ত থাকে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া_ এই মত মেনে নেয়ার পরও কতকগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়- যার কোনো উত্তর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। দ্রব্যমূল্য যদি একটা স্বাভাবিক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেত তাহলে সে ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অর্থনীতিতে তেমন আঘাত করত না। কিন্তু অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভোক্তাদের কম-বেশি বিব্রত করে তোলে।

 প্রাত্যহিক প্রয়োজনে শাক-সবজির মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য বিদ্যমান। বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি অথবা উৎপাদনের ওপর মূল্য নির্ভরশীল বলে ক্রেতাদের তেমন আঘাত করে না। কিন্তু অন্যান্য দ্রব্য, যেমন ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল অথবা সমশ্রেণীর পণ্যের মূল্য যেভাবে ক্রমশ ওপরে উঠতে শুরু করেছে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে ভোক্তাশ্রেণীর ওপর। বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্য ছাড়াও পেট্রোল জাতীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ দেশে এসব দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যায় এবং বিশ্ব বাজারে এগুলোর মূল্য হ্রাস হলেও স্থানীয় বাজারে মূল্য হ্রাসের দিকটি কোনো ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় না।
সম্প্রতি বাজারে বিদেশ থেকে অনেক আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে তা আশঙ্কাজনকভাবে ভোক্তাশ্রেণীকে আঘাত করেছে। এর মধ্যে আছে শিশু খাদ্য, গুঁড়াদুধ ও জুস। সাইপ্রাসে প্রস্তুত 'ফনটানা' জুস বেশ কিছুদিন থেকে বাজারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাজারজাত হওয়ার পর এই শ্রেণীর জুস একশ দশ টাকা করে বিক্রি করা হতো। ফনটানা জনপ্রিয় হওয়ার পর এর দাম বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করা হতো ১৩৫ টাকায়।

 ঢাকার নিউ মার্কেট, গুলশান ও অন্যান্য বাজারে একই দামে ফনটানা বিক্রি করা হতো। সম্প্রতি ফনটানার মূল্য ১৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকায় অর্থাৎ ৬৫ টাকা বেশি দামে। যে জিনিস বিক্রি করা হতো ১৩৫ টাকায় তা কীভাবে ২০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব এ প্রশ্ন ক্রেতা সাধারণের পক্ষ থেকে উত্থাপন স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে একটি দিক মনে রাখা স্বাভাবিক, ফনটানা যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করে তাদের নির্ধারিত খুচরো মূল্য ২২০ টাকা। নিউ মার্কেটের দোকানে ক্রেতাদের কমিশন দিয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এখানে যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এই মূল্য বৃদ্ধি কি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে করা হয়েছে, না আমদানিকারকরা নিজেরাই পণ্যের মূল্য স্থির করে থাকেন। আমদানিকারকরা ডলারের মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিলেও বর্তমানে ডলারের মূল্য (টাকার বিপরীতে) আগের চেয়ে চার টাকা হ্রাস পেয়েছে। পঁচাশি-ছিয়াশি টাকা থেকে এক ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে বিরাশি টাকাতে।

 শুধু জুস নয়, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গুঁড়াদুধের মূল্য মাঝে মাঝে বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে যে গুঁড়াদুধ ৬ মাস আগে কেনা, পরে কেজিতে মূল্য বৃদ্ধি পায় পঞ্চাশ টাকার ওপর। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করা শিশু দুধের দামও আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে ন্যান ও অন্যান্য শিশু যোগ্য দুধের উল্লেখ করা যায়। এই শ্রেণীর পণ্যের দাম কীভাবে বৃদ্ধি পায় তা ক্রেতাদের কাছে অজ্ঞাত। প্রয়োজনের জন্য তাঁদের এসব পণ্য কিনতে হয় অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিন্তু কেন অতিরিক্ত মূল্য দিতে হয় তার কোনো সদুত্তর মেলে না। আরো একটি দিক গুরুত্বের অধিকারী হলেও বিক্রেতা সমাজ তা কোনো ক্ষেত্রেই আমল দেয় না, অবজ্ঞা করেন প্রতিনিয়ত। সরকারের পক্ষ থেকে পণ্যের দামের তালিকা দোকানে টাঙিয়ে রাখার কথা থাকলেও সাধারণভাবে কোনো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তা পালন করেন না। আকস্মিকভাবে কোনো বাজারে নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টরের আগমন ঘটলেই ব্যবসায়ীরা তাড়াহুড়ো করে কয়েকটা পণ্যের দাম বোর্ডে লিখে টাঙানোর পর ইন্সপেক্টরের বাজার থেকে প্রস্থানের পরই তা আবার নামিয়ে ফেলেন। এই দৃষ্টান্ত থেকে একটা দিক স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, শুধু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নয়, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কাছে অধিক মূল্যে দ্রব্য বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করে থাকেন। কোনো কোনো সময়ে বিক্রেতারা পণ্যের ওপর থেকে মূল্যের স্টিকার তুলে নিজেরাই বেশি দাম লিখে রাখতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেন না। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নীতিবোধ বলে কোনো কিছু নেই এবং কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অনিয়ন্ত্রণহীনতাই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

 যেকোনো উন্নয়নশীল দেশে দক্ষ প্রশাসন, অবৈধ দিক নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছ জীবন প্রধান বলে বিবেচিত। বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেভাবে অগ্রসর হতে শুরু করেছে সেখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতি দমনে অগ্রসর হলে অনেক আগেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে ওপরে আরোহণ সম্ভব হতো। কিন্তু সম্ভব এই দিকটিকে অসম্ভবের কালো মেঘ আবৃত করায় আশানুরূপ উন্নয়নে অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে। এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, মেধাবী জনগোষ্ঠী, কর্মশক্তি ও জনসংখ্যার ক্ষেত্রে প্রবৃত্তি দেখা গেলেও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।

 রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য দিক বর্তমানে আলোচনা না করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয়ের দিক এখানে আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করা যায়। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি দেশের ভোক্তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে বাজারজাত দ্রব্যে ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল প্রয়োগের কারণে। বাজারে পেঁপে থেকে শুরু করে কলা, আপেল, আঙুর, আম ও অন্যান্য ফলে দীর্ঘদিন থেকে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত হলেও তা নিয়ন্ত্রণে পূর্ণ পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। হলুদ রঙের পেঁপে বাজার থেকে কিনে আনার পর পরদিন কাটার পর তার মধ্যকার কালো দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আঙুর, আপেল কেনার পর কয়েকদিন টেবিলে রাখার পরও তার মধ্যে পচনশীলতা লক্ষ্য করা যায় না। পাকা কলারও একই অবস্থা। এর ফলে অনেকেই ফল কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। কদিন পর বাজারে আম ওঠার পর একই প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যাবে। রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে আম দ্রুত পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। আজকাল আঙুরে কীটপতঙ্ক বসে না কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে। বিষাক্ত ফল খেয়ে মানুষ বিভিন্ন রকমের পেটের ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, মানুষের আয় পরিধিও হ্রাস পাচ্ছে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে।

 ফল ছাড়াও বাজারে বিক্রীত মাছ সম্পর্কেও একই মনোভাব পোষণ করা যায়। মিয়ানমার বা অন্য দেশ থেকে আমদানিকৃত বৃহৎ আকারের রুই ও অন্যান্য মাছেও রাসায়নিক মিশ্রণে বাজারজাত করা হয়। সরকারি নিয়ন্ত্রণহীনতা ও অপরাধের শাস্তি না পাওয়ায় বিক্রেতারা দিনের পর দিন স্বাধীনভাবে এসব পণ্য বিক্রিতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয় না। বিক্রেতাদের মধ্যে মানসিক আদর্শ তৈরি হয়নি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের মনোভাবে ও শাস্তিহীনতার কারণে।

 দেশে কারেন্ট জাল ও জাটকা ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও জেলেরা কারেন্ট জাল ব্যবহারে বসে থাকেনি। একইভাবে জাটকা ধরার পর প্রকাশ্যেই বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কি দৌরাত্ম্যের জন্য জাটকা ধরা বন্ধ করতে পারেন না? প্রশাসন যদি অনিয়মের ছোট দিকগুলো প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হন তাহলে দেশের বৃহত্তর শৃঙ্খলা রক্ষা করা কিভাবে সম্ভব হবে এ প্রশ্নের উত্তর সবার কাছে অজানা।

 আরো একটি পুরনো ও প্রচলিত অসঙ্গতির দিক আবার উল্লেখ করা প্রয়োজন বলে মনে করার কারণ আছে, কারণ এই অসঙ্গতির সঙ্গে অন্য অসঙ্গতিগুলোও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ঢাকার রাস্তায় ছোট যানবাহন নিয়ে চলাচল ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যানজটের বিরুদ্ধে মাইকিং, সস্নোগান, পোস্টার ও প্রাথমিক প্রচেষ্টার পরও ঢাকার রাজপথের কোনো উন্নত হয়নি, বরং বর্তমানে তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যানজট নিরসনে একসময় সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি হ্রাস করা। এই প্রচেষ্টা কার্যকর কঠিন না হলেও সহজ নয়, কারণ এর ফলে একশ্রেণীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে এই মতের বিরুদ্ধে যে যুক্তি নেই, তা নয়। রাস্তায় যানজট নিরসনে সাময়িক হলেও এই প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে। রাস্তায় পরিবহন চলাচলের ক্ষমতার দিকটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় বলে গৃহীত হতে পারে। বিকল্প দিক হিসেবে ঢাকায় অবস্থিত সরকারি ও বেসরকারি অফিস ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করলে এই সমস্যা থেকে খানিকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই সূত্রেই ঢাকার স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অংশে বিভাজনের দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় আর একটি দিক হতে পারে ঢাকার রাজপথ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল প্রত্যাহার। এ ক্ষেত্রে মিনি বাস, বাস ও টেম্পো সব ধরনের গাড়ি ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হবে। তৃতীয় যে দিকটি সহজতর কিন্তু সরকারের পক্ষে কঠিনতর তা হলো পাতাল রেল ও রাজপথের দুপাশে মনোরেল স্থাপন। পাতাল রেল স্থাপনে শুধু খরচ নয়, রাস্তার যে অবস্থা দাঁড়াবে তা আরো বেশি করে যানজট সৃষ্টি করবে। একমাত্র যানচালকদের সহনশীল মনোভাব থাকলে এই অবস্থা হলে তা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। আরো একটি বিকল্প দিক আছে রাস্তার ওপর দীর্ঘ ফ্লাইওয়ার নির্মাণ।

 সাম্প্রতিককালে ঢাকার রাস্তায় যানজটের প্রাথমিক কারণ দ্বিবিধ। প্রথমত সরকারি ও বেসরসারি বাসের অনবরত লেন পবিরর্তন করে রাস্তার ডান দিকে আসা, নিজেদের ইচ্ছামত একবার বাঁদিকে পরক্ষণে রাস্তার ডানদিকে যাওয়া, বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে পাশের ও পেছনের গাড়ির গতির অবরোধ করা। বাসচালকরা স্বাধীনতভাবে ট্রাফিক নিয়মের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে গাড়ি চালানোর একটাই কারণ_ তাদের এই বেপরোয়া গাড়ি চালালে কোনো শাস্তি নেই। দ্বিতীয়ত অনেক সময় ট্রাফিক সার্জেন্টের উদাসীনতা। ট্রাফিক সার্জেন্টের সামনেই বাস চালকরা প্রতিনিয়ত নিয়ম ভঙ্গ করে। মোটর সাইকেল চালকদের কাছে কোনো ট্রাফিক নিয়মই নেই, তারা বাস চালকদের চেয়ে দশগুণ ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারী। তারা যেন মাঠের এলোমেলো ফুটবল খেলোয়াড়, নিজেদের ইচ্ছামতো বাঁ দিকের রাস্তা থেকে ডানদিকে, ডান দিকের রাস্তা থেকে বাঁ দিকে। কখনো সামনে চলাচলের রাস্তা দিয়ে উল্টো দিকে যাওয়া, নিষিদ্ধ মোড়ে ইউ-টার্ন নেয়া_ সব নিয়ম ভঙ্গ করতেই তারা সমান পারদর্শী। রাস্তায় চলার এমন অধিকার তারা কিভাবে অর্জন করলেন তার উত্তর নিজেরাই দিতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে ট্রাফিক সার্জেন্ট নিয়ম ভঙ্গকারীদের প্রথমে ওয়ার্নিং টিকিট দিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইন করলে অবাধ চলাচল সহজ হবে। এর সঙ্গে রাস্তায় চলাচলকারীদের ওভারব্রিজ দিয়ে হাঁটার অভ্যাস করাতে হবে, অন্যথায় আইন অমান্যের জন্য আর্থিক জরিমানা ব্যবস্থার প্রবর্তন।

 একটি দেশে শৃঙ্খলা পালন সম্ভব দেশবাসী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায়। জনগণকে আইন মান্য করে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। অন্যক্ষেত্রে দেশের সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনে প্রশাসনকে ন্যায়নিষ্ঠ নীতি পালন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ উন্মুক্ত নেই।

 একমাত্র ন্যায়নীতি ও আইনের শাসনই দেশ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ফল ও মাছে কেমিকেলের মিশ্রণ রোধ ও অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর জন্য পাশ্চাত্য দেশ জাপান. থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় যেতে হবে না, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই বোধোদয় হবে। এর ফলে দেশের মানুষ খাঁটি খাদ্যদ্রব্য প্রকৃত মূল্যে কিনতে পারবেন, নিরাপদ জীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে সক্ষম হবেন।

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter