Flickr

Monday, 7 May 2012

সবগুলো বিরোধী দলকে ক্রাশ করার জন্য সরকারের সর্বাত্মক হামলা

Posted by   on

সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন যে, ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত থাকতে পারে। তাছাড়া জামায়াত ও জঙ্গিরাও এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। গত শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘সরকার সকল ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে অবগত। কিন্তু সরকারে থাকার কারণে আমরা অনেক কিছু বলতে পারি না।’’ (মানবজমিন : ০৫.০৫.২০১২)। ঘাদানিকের সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান থেকে এ দেশে গুম  ও হত্যার রাজনীতি আমদানি করেছে। ইলিয়াস আলীর ঘটনার পেছনেও এই জামায়াতে ইসলামীর হাত থাকতে পারে। এই বিষয়ে আমাদের মন্তব্য এই নিবন্ধের তৃতীয় পর্বে পেশ করব। তার আগে প্রায় দুই শতাধিক জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে হামলা এবং মামলার বিষয়ে আলোচনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হয়েছিলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলীর অপহরণের প্রেক্ষাপটে। সেই আন্দোলন শেষ হওয়ার আগেই সরকার এমন হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করল যে আন্দোলন একটি নতুন ডাইমেনশন পেলো। ইলিয়াস আলী কেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে গিয়ে এখন সরকার শুধুমাত্র বিএনপি নয়, বরং ১৮ দলীয় জোটকে অর্থাৎ সমস্ত বিরোধী দলকেই নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিএনপি ও ১৮ দলের অন্তত ৫২ জন শীর্ষ নেতার মাথায় গ্রেফতারের খড়গ ঝুলছে। বিরোধী দলসমূহকে আওয়ামী লীগ জোর করে সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে এখান থেকে বিরোধী দলের ফেরার আর কোনো পথ খোলা নেই।

আওয়ামী লীগের জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম হানিফ এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম সেদিন যা বলছেন সেটি সামগ্রিকভাবে সরকারের আত্মতুষ্টিকে প্রতিফলিত করেছে। তারা একজন বলেছেন যে, এক মামলাতেই নাকি বিরোধী দলের আন্দোলন ঠান্ডা। আর নাসিম বলেছেন যে, মামলার ভয়ে যেখানে ৫০ নেতা পালিয়ে বেড়ান সেখানে তাদের দ্বারা আন্দোলন হয় না কি? মনে হচ্ছে যে তারা দু'জনই সরকারি মনোভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এটাই যদি সরকারের সর্বশেষ মনোভাব হয়ে থাকে তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করছেন। ১৮ দলের আন্দোলন থেমে যায়নি। প্রথম সারির সব নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করার পর স্বাভাবিকভাবেই সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স ঠিক করার প্রয়োজন ছিলো। এই জন্য বেগম খালেদা জিয়া গত বুধবার রাতে কয়েকজন নেতাকে ডেকেছিলেন। এদের বিরুদ্ধে এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি। তাদেরকে বলেছেন যে, যেসব নেতা এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়ে না আসা পর্যন্ত সেকেন্ড লাইন আন্দোলন পরিচালনা করবে। এই সেকেন্ড লাইনের সদস্যদের নিয়মিত অফিস করার জন্য এবং সারা মফস্বল জুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে নেতা ও কর্মীদেরকে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য বেগম জিয়া তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 আওয়ামী নেতারা বলেন যে আন্দোলন নাকি শেষ হয়েছে। আন্দোলন যে শেষ হয়নি সেটা তারা দু'এক দিনের মধ্যেই টের পাবেন। গত ৩ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে পৃথিবীর ৩টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের ৩ জন অতীব গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্মানিত রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন। এরা হলেন জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী, ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী এবং আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আওয়ামী লীগের মতো ১৮ দলীয় জোট মারদাঙ্গা দায়িত্বহীন বিরোধী দল নয়। তাই বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই ৩ জন সম্মানিত বিদেশী মেহমানের প্রতি সম্মান দেখানোর উদ্দেশে বিরোধী দল মাত্র কয়েক দিনের জন্য আন্দোলনের সাময়িক বিরতি দিয়েছে। মেহমানরা চলে গেলেই আবার আন্দোলন শুরু হবে। এর মধ্যে যদি ইলিয়াস আলীকে জীবিত ফেরত দেয়া হয় এবং ১৮ দলীয় নেতৃবৃন্দের ওপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা  প্রত্যাহার করা হয় তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
দুই.
বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দ মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অথবা মামলার ভয়ে আন্দোলন ঠান্ডা বলে যে বক্রোক্তি করেছেন সেটা তাদের মজ্জাগত স্বভাব থেকে এসেছে। মামলাগুলো তো মিথ্যা। তারপরেও বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দ সেই মিথ্যা মামলার মোকাবিলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই সরকার গণতন্ত্রের নামাবলী পরে যে চন্ডনীতি গ্রহণ করেছে সেটি স্পেন এবং পর্তুগালের স্বৈরশাসক ফ্রাঙ্কো এবং সালাজারকেও হার মানায়। বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দ তো জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। জামিন নিতে গেলে স্বশরীরে হাজির হতে হয়। তারা সকলেই সশরীরে হাজির হতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে এবং বাইরে সরকার যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সেটিকে যুদ্ধাবস্থা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি গেটের সামনে শুধুমাত্র বিপুলসংখ্যক পুলিশই নয়, পুলিশ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের ঐসব গেটে ১০/১৫টি প্রিজন ভ্যান মোতায়েন রাখা হয়েছে। মতলব অত্যন্ত পরিষ্কার। সুপ্রিম কোর্টে ঢোকার মুখেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে এবং অদূরে অপেক্ষমান প্রিজন ভ্যানে তোলা হবে। সেজন্য হাইকোর্টে প্রবেশমান প্রতিটি গাড়ি চেক করা হচ্ছে এবং গাড়িতে উপবিষ্ট আরোহীদেরকেও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতো ব্যাপক পুলিশী প্রহরা সত্ত্বেও কেউ যদি পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোর্টের মধ্যে ঢুকে পড়ে তাহলে তার জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোর্টের মধ্যে গিজ গিজ করছে সাদা পোষাক পরা অসংখ্য পুলিশ। আদালতে যদি কারো জামিন মঞ্জুর না হয় তাহলে ঐ সাদা পোশাকধারীরা তৎক্ষনাৎ তাকে ধরে ফেলবে এবং বাইরে অপেক্ষমান প্রিজন ভ্যানে তুলবে। নাসিম সাহেবরা বুকে হাত দিয়ে বলুন, বাংলাদেশের এই ৪০ বছরে বিচার বিভাগের এমন অপব্যাবহার আর কোনো সরকার করেছে কি?

যেসব অভিযোগ তুলে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে সেসব যে কত ঠুনকো সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ৪ মে দৈনিক ‘আমাদের সময়ে' বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। পত্রিকাটির শেষ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তার শিরোনাম ‘‘কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে পালিয়ে গেল মোটরসাইকেল আরোহীরা?’’ খবরের একস্থানে বলা হয়েছে, ‘‘প্রশ্ন ওঠেছে, গত হরতালের প্রথম দিনে বিস্ফোরণের কিছু আগেই সচিবালয়ের অফিস থেকে গণভবনে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাওয়ার পর র‌্যাব, আমর্ড পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ওই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি পুলিশের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়া সচিবালয়ের চারপাশ জুড়ে ছিলো কঠোর নিরাপত্তা বলয়। এতো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কী করে একটি মোটরসাইকেলে দুজন অজ্ঞাত লোক ককটেল বহন করে? এছাড়া যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে একটি মোটরসাইকেল যেতে কমপক্ষে তিনটি স্থানে তল্লাশির প্রয়োজন হয়। বিস্ফোরণের পরপরই ওই মোটরসাইকেলটি এসব বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে পালিয়ে যায়?’’

আরেকটি হলো, তেজগাঁয়ে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে বাসে অগ্নিসংযোগ। অতীতে সাধারণত ঐ স্থানে কোনো দুর্ঘটনা বা সহিংস ঘটনা ঘটেনি। কারণ এটি কোনো দিনও বিক্ষোভ, শোভাযাত্রা বা পিকেটিংয়ের স্থান ছিলো না, এখনও নেই। উত্তরে সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেট, দক্ষিণে বিমানবাহিনীর অফিসার্স মেস এবং চৌরাস্তার মোড়। পূর্বে বিমান বাহিনীর রিক্রুটিং সেন্টার। এখানে কোনো বেসরকারি বাস ভবন নেই। তাই এখানে অতীতে কোনো দিন সভা ও শোভাযাত্রা হয়নি, কোনো পিকেটিংও হয়নি। এখানে তো হরতালকারীদের জন্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগের কোনো প্রয়োজন নেই। আর আগুন লাগিয়ে কাকে তারা ভয় দেখাবে? এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিসের গেটে রয়েছে কঠোর প্রহরা। উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্বে রয়েছে সেনা, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি। সেখানে বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয় কিভাবে? আর আগুন লাগিয়ে পালিয়েই বা যায় কিভাবে? সুতরাং এই স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি রহস্যজনক।

তিন.
ইলিয়াস আলীর অপহরণের কোনো কুলকিনারা এই কলামটি লেখার সময় পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে যে অপহরণের তদন্ত একটি বিশেষ খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। কাতার যাওয়ার আগের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, বেগম জিয়ার নির্দেশেই হয়ত ইলিয়াস আলীকে কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ পত্র-পত্রিকার পাতায় যেসব রিপোর্ট বেরিয়েছে সেইসব রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সরকারি বাহিনী বা এজেন্সির লোকেরাই ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ তদন্তে ঐসব  বিষয় মোটেই আমলে নেয়া হচ্ছে না। বরং তদন্তে বারবার এই বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে যে ইলিয়াস আলীর এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো উপদল ছিলো কিনা? থাকলে তারা কারা? ইলিয়াস আলীর সহায়-সম্পদের হিসাব নেয়া হচ্ছে। তার জ্ঞাত আয়ের সূত্রের বাইরে তিনি সম্পদ অর্জন করেছেন কিনা? অর্থাৎ তদন্তকারীরা ধরেই নিয়েছেন যে উপদলীয় কোন্দল অথবা ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন জনাব ইলিয়াস আলী।

এদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন ছাত্রকে গ্রেফতার করায় এবং রিমান্ডে নেয়ায় বিষয়টি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। এই ছাত্রটি হলো তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীন। এই ছেলেটি নাকি খবর দিয়েছিলো যে, ইলিয়াস আলীকে পুবাইলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, শাহীনের ঐ সংবাদের সূত্র ধরেই ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে নিয়ে র‌্যাব পুবাইলে অভিযান চালায়। কিন্তু সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। এখন ঐ ছেলেটিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে কোন্ কথা আদায় করতে চায় পুলিশ? ইলিয়াসের শত্রুরা তাকে অপহরণ করেছে- মনে হচ্ছে তার মুখ দিয়ে আইন-শৃক্মখলা বাহিনী সেই কথাটি বের করতে চায়, যে কথাটি তারা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।
এদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যে, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ইলিয়াস আলীর অপহরণের পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই এবং জামায়াতে ইসলামী জড়িত থাকতে পারে। এই নিবন্ধের শুরুতেই আমরা সে কথা উল্লেখ করেছি। এখন পাঠক ভাইয়েরা দেখুন, খোদ সরকারের মন্ত্রীদের কথার মধ্যেই কত গরমিল। প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, বেগম জিয়ার নির্দেশে ইলিয়াস আলীকে লুকিয়ে রাখা হতে পারে। কামরুল ইসলাম বলছেন যে, পাকিস্তানের আইএসআই, জামায়াতে ইসলামী এবং জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বাস দেন যে ইলিয়াস আলীকে তার পরিবারের নিকট ফেরত দেয়ার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগের অন্যান্য মন্ত্রী এবং একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন যে, বিএনপির সিলেট জেলা শাখার উপদলীয় কোন্দলে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন। সরকার নিজেই যেখানে ৩ রকম কথা বলছেন সেখানে ইলিয়াস আলীর উদ্ধারের ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রয়াস পরিহাসের মতো শোনায়। অন্যদিকে ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করার সময় যে ৪ ব্যক্তি ঘটনাটি সচক্ষে দেখেছে সেই ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীও হঠাৎ করে গায়েব হয়ে গেছে। এখন আবার সরকারের তরফ থেকে আইএসআই'র ধুয়া তোলা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ইলিয়াস আলীর অপহরণকে সুপরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক মনে হচ্ছে।

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter