Flickr

Monday, 23 September 2013

Diary'71

In 1971, Senator Edward Kennedy was only 39 years but he was astute enough to realize that a terrible genocide has taken place in erstwhile East Pakistan by the marauding and occupational army of Pakistan. The spate of mass killing had stirred the mind of this liberal senator from America so much so that the senator rushed to Dhaka barely 60 days after Bangladesh got its independence on December 16, 1971. Senator Kennedy wanted to visit the prime killing field, which was the campus of Dhaka University where hundreds of professors, students, and staff members were butchered by Pakistani army alone in the wee hours of March 26, 1971. All told, nearly 3 million people were the victims of wanton killing by the brute occupational army. This bothered Senator Kennedy who came to Bangladesh to bring into fore the Bengali genocide. The senator gave an impromptu speech at the campus showing his anguish over the mass murder inside the campus. This is not all. The senator crisscrossed parts of West Bengal during 1971 to bring attention to the colossal refugee problem when tens and thousands of Bengalis, young and old, moved from erstwhile East Pakistan to neighboring Indian states of West Bengal, Assam, Meghalaya, and Tripura under the threat of annihilation by the brute occupational force of Pakistani military that waged a full-scale genocide and ethnic cleansing..

Today, America is mourning the death of Senator Kennedy as soon as the news of his passing away was flashed in the morning of August 26, 2009. Valiantly, he fought the brain cancer for about a year. He died in his Cape Cod home surrounded by family members in the night of August 25, 2009.

Senator Edward Kennedy, who was popularly known as Ted Kennedy, served nearly 50 years in the US Senate; he was eulogized as ‘Lion of the Senate.’ Some even went as far as calling him the ‘Patriarch of the Senate.’ He left a strong legacy and to his credit authored many legislations those that impacted the entire gamut of American life over the last half a century. He left his marks on legislations covering health care, civil rights, education, immigration reform, etc.

Among senators he was one of the bluest liberal legislators who never shied away from speaking his mind. At a time he was seen as a combative politician who would not give an inch but at other times he was very gentle and kind. In early 2008 he courageously endorsed the candidacy of Barack Obama in the Democratic primaries when political endorsement was difficult to come by. Senator Kennedy and his family members including his niece, Caroline Kennedy, gave their enthusiastic endorsement to Barack Obama, which catapulted the freshman senator from Chicago to become a viable alternative to Senator Hillary Clinton to run for the highest office in the land. What happened next is a history.

President Obama was vacationing in Martha’s Vineyard in Massachusetts when the news of Senator Kennedy’s death filled the air waves on Wednesday (August 26, 2009) morning. In a brief statement to the press, President Obama lauded Kennedy as one of the “most accomplished Americans” in history and a man whose work in Congress helped give millions new opportunities. Obama included himself to be one of the millions who benefited from Kennedy’s legislative work in the Senate.

Senator Ted Kennedy started his public service as a senator from Massachusetts in the early 1960s when President Lyndon B. Johnson was in the White House and he served the nation as a senator continuously until his death. During these times 9 presidents had served the nation.

His pristine public service record was briefly marred by an incidence in 1969 when his car went under water near Chappaquiddick, Massachusetts resulting in the death of a female campaign worker. This incident practically ruined his ambition to run for the White House in 1980 presidential election. Senator Kennedy then devoted all his energies to help legislate key civil rights laws and other bills that had impacted lives of millions of Americans.

Today, I learned via official e-mail that flags at all US government offices all across the nation will be half-staff starting from August 26 through August 30, 2009. I am awed by the proclamation made by President Obama. I have never witnessed such adulation made by any sitting president to a legislator.

With the passing away of Senator Ted Kennedy America lost a giant legislator and Bangladesh lost a dear friend. Senator Kennedy did all he could to thwart President Nixon’s ability to help Pakistan during 1971. If there weren’t a senator like Kennedy, Nixon would have helped General Yahya Khan militarily and Bangladesh’s Liberation War would have prolonged causing loss of more lives. Senator Ted Kennedy’s name should go in the annals of Bangladesh history as an American legislator who gave so much to stop a full-scale genocide perpetrated by Pakistani military. And that should be his legacy from the perspective of Bangladesh and her Liberation War.

Monday, 9 September 2013

৯ সেপ্টেম্বর বাঘাইছড়ি ট্রাজেডি দিবস ১৭ বছরেও খুনি শান্তিবাহিনীর বিচার হয়নি

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশেরই এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেশের এক-দশমাংশ ভূমি ৫০৯৩ বর্গমাইলজুড়ে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলা। চেঙ্গী, মাইনী, কাছালং বিধৌত এবং বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের পার্বত্য তিন জেলা। অথচ পাহাড়ের মানুষের মাঝে নেই কোন শান্তি, নেই কোন স্বস্তি। দুর্গম পাহাড়ের প্রতিটি আনাচে-কানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাস। কোথাও চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, এলাকার আধিপত্য ও দখলদারিত্বের প্রতিযোগিতা। উপজাতি-বাঙালি প্রতিটি মানুষই আজ পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। অথচ প্রশাসন কোনই ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কিন্তু, কেন? পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেআইনী অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজি। জেএসএস, ইউপিডিএফ, ছদক, গুন্ডুস, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, সাজেক নারী কল্যাণ সমিতি, ভূমি রক্ষা কমিটি, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ইত্যাদি নামে- বেনামে পার্বত্যবাসী জনগণের ওপর চালানো হচ্ছে চাঁদাবাজির স্টিম রোলার। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই।
বিগত ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, রাঙামাটি জেলার লংগদু থানার শতাধিক কাঠুরিয়াকে আলোচনার কথা বলে নেয়া হয়েছিল বাঘাইছড়ি থানার পাকুয়াখালীর গহীন অরণ্যে। ক্ষুধার্ত, অভুক্ত বাঙালি শ্রমিকরা কাজের আশায় সরল মনে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কথায় বিশ্বাস করেছিল। চাঁদা নির্ধারণের জন্য আলোচনার ফাঁদে ফেলে এভাবে যে শতাধিক কাঠুরিয়াকে হত্যা করা হবেÑ সেই আশঙ্কাটিও ভেবে দেখার সুযোগ ছিল না।
৫ জন করে চোখ বেঁধে গহীন অরণ্যে নিয়ে তাদেরকে বেয়নেট চার্জ করে প্রথমেই গুরুতর আহত করা হয়। এরপর দা/ছুরি দিয়ে হাত-পা কেটে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরা টুকরা করে পাহাড়ের তলদেশে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। এভাবে মোট কতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তারও কোন সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে হত্যাকা- ঘটে যাবার পরও তৎকালীন সরকার ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন একে ¯্রফে গুজব(!) এবং উপজাতীয়দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র(!) বলেও চালিয়ে দিতে মোটেও দ্বিধা করেনি। কিন্তু স্বজনদের আহাজারি ও কান্নাকাটির পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। নিখোঁজ ও নিহত কাঠুরিয়াদের সন্ধান করতে পরে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়। লংগদু ও বাঘাইছড়ির দুর্গম পাহাড় ও গহীন জঙ্গলে ব্যাপক খানা-তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় বাঙালিদের সক্রিয় সহযোগিতায় একে একে লাশের সন্ধান আসতে থাকে। পাহাড়ের গহীন তলদেশ থেকে এবং দুর্গম জঙ্গল থেকে কাটা-ছেঁড়া, ক্ষতবিক্ষত বিকৃত চেহারার লাশগুলো উদ্ধার করে আনা হয় লংগদু উপজেলা পরিষদের মাঠে। সেখানে মুচি ডেকে লাশগুলোর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেলাই করে মানব আকৃতি দেয়া হয় এবং লংগদু মাঠে বিরাট জানাযা করে লাশগুলোকে সমাহিত করা হয়। ১৭ বছর পরও আজো ৩৫টি কবর লংগদু থানা পরিষদ মাঠের একাংশে সাজানো আছে। দেখলে মনে হবে ৩৫ জন বাঙালী ভাই যেন পাশাপাশি শুয়ে আছে। সেখানে অপর পাশে রয়েছে লংগদু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ সরকারের কবরস্থান। লংগদু গুলশাখালীতে ব্রাশফায়ার করে খুনি শান্তিবাহিনী হত্যা করেছিল উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রশিদ সরকারকে।
বাঘাইছড়ির পাকুয়াখালীর কাঠুরিয়া হত্যাকা- ঘটার পরও সরকারের শীর্ষপর্যায়কে ঘটনাটি জানানো হয় নাই। বরং একে নিয়ে নানারূপ গুজব ও বাঙালিবিদ্বেষী প্রচারও চালানো হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লংগদু হত্যাকা- আদৌ ঘটেছে কি-না(?), তার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি পাঠানো হয়েছিল।
তোফায়েল-আমু-রাজ্জাক- হাসনাত-দীপঙ্কর তালুকদারসহ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। নৃশংসতা ও বর্বরতা স্বচক্ষে দেখে তারাও বিস্মিত হয়ে যান। মানুষকে এভাবে কেউ হত্যা করতে পারে, এ যেন কল্পনাও করা যায় না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই বর্বর জঘন্য হত্যাকা-ের ঘটনায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নাই। চীন ভ্রমণের প্রাক্কালে ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অশ্রুসজল কণ্ঠে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কাছে বাঘাইছড়ি হত্যাকা-ের তদন্ত ও খুনীদের বিচারের ওয়াদা করেছিলেন। কিন্তু বিচারের বাণী আজও নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে। জাতি আজও দীর্ঘ ১৭ বছর পরও খুনীদের বিচার দেখতে পেল না। সরকার একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সেসব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও প্রকাশ হয়নি।
বাঘাইছড়ি হত্যাকা-ের পর প্রচার মাধ্যমে তৎকালীন শান্তিবাহিনী এর দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছিল এবং বলেছিল- তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারও আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই এই লোমহর্ষক হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে। অথচ তার পরেও সরকার খুনী শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বরং ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর খুনী শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংসদীয় কমিটির নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। অতি উৎসাহী কেউ কেউ বলেন একে পার্বত্য শান্তিচুক্তি। অথচ শান্তিচুক্তির ১৬ বছর পরও পাহাড়ে আজও চলছে অবাধে চাঁদাবাজি ও বন্দুকযুদ্ধ। অথচ তারপরেও এর বিরুদ্ধে নেই কোন সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এই কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গার জন্য নেই কোন বাস্তবসম্মত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।
দেশী ও বিদেশী চাপের মুখে আজও আটকে আছে পাহাড়ের সার্বিক ভাগ্য। পাহাড়ের মানুষ ভূমি, ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে ঝুলে আছেন শান্তিচুক্তির বেড়াজালে।
৯ সেপ্টেম্বর এলেই স্মরণ করা হয় সেইসব হতভাগা কাঠুরিয়াদের। কিন্তু খুনীদের বিচারের দায়ভার যেন কেউই আর বহন করতে রাজি নয়। তাহলে কে করবে এই বিচার?

দ্বিতীয় বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বিপ্লব?

 
সারা দেশের মানুষ সম্ভাব্য সংলাপের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে ধৈর্য ধারণ করে আছে। বিরোধী দলও সংলাপের পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজনে বলতে গেলে আন্দোলন স্থগিত করে সাংগঠনিক কাজে সময় কাটাচ্ছে। ঠিক এই সময় হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি করে সচিবদের ডেকে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করে দিলেন। ফলে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। নির্বাচন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি কি আসলেই নির্বাচন চান নাকি বিরোধী দলকে উস্কানি দেয়ার জন্যে কিংবা বিরোধী দলের আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী রূপরেখার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো সংবিধান সংশোধন না হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে না। দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এই সময় সংসদও বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ ও এমপিগণও স্বপদে বহাল থাকবেন। দৈব-দুর্বিপাক হলে মেয়াদ শেষের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে। এটা একটা উদ্ভট পরিকল্পনা। এ ধরনের নির্বাচনের নজীর সমসাময়িককালের ইতিহাসে কোথাও নেই।
মধ্যযুগেও কোন দেশে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী কি সত্যি সত্যি নির্বাচন করার জন্য এই পরিকল্পনা করেছেন নাকি কোন অসাংবিধানিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার জন্য এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। একথা দিবালোকের মতো সত্য সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোন প্রকারেই জয়লাভ করতে পারবে না। বিগত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গণনির্যাতন চালিয়েছেন সমসাময়িককালের কোন দেশে এর নজীর নেই। ফলে নির্বাচনে পরাজিত হলে তার দল গণরোষের (ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারের ভাষায়) শিকার হবে।  বস্তুত সেই আশঙ্কা থেকেই তিনি চান কোন অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করুক। তাহলে তিনি শ্যামকুল দুই দিক রক্ষা করতে পারবেন। নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়ন না করে সারতে পারলেন অপরদিকে তার দল ঝামেলা থেকে রক্ষা পেল। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন।
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রের জন্যই তার জন্ম হয়েছে। গণতন্ত্রই দেশের মানুষের কাম্য। গণতান্ত্রিক শাসনই জনগণের চাহিদা। এই গণতন্ত্রের জন্যই শেখ মুজিব নিজেও সারা জীবন লড়াই করেছেন। বর্তমানে দেশের মানুষের চাহিদাও নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন। বর্তমান সরকার কর্তৃক সৃষ্ট শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির পরিবর্তন চায় মানুষ। পরিবর্তনের জন্য দরকার নির্বাচন। এমন নির্বাচন যে নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। ২০০৮ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। কোন প্রকার সাজানো বা পাতানো নির্বাচন নয়। চাই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যে নির্বাচনে আপামর জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। যেহেতু এই সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে সেহেতু এই সরকারের অধীনে মানুষের মতামত প্রতিফলিত হওয়ার মতো কোন নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ কেন বিশ্বের কোন মানুষ বিশ্বাস করে না।
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ব্যক্তি গোষ্ঠী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তথা আপামর জনগণ চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই লক্ষ্যে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। তাই নয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন জরীপে দেখা গেছে, দেশের শতকরা ৯০% ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনে যেন সেনাবাহিনীর তদারকি থাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির সাথে এটাও একটা দাবি।
এই জনমতের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে আমাদের সকল বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। এই লক্ষ্যে বিরোধী দলের সাথে সংলাপে বসার জন্য তারা সরকারকে বিভিন্নভাবে অনুরোধ উপরোধ করে চলছে। এজন্য উদ্বিগ্ন জাতিসংঘও। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিনিধি কয়দিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে গেছেন। কিন্তু এর ভিতরও সংলাপের ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। মাত্র কয়দিন আগে বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাথে টেলিফোনে আলাপ করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল ঢাকা আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমনকি বিরোধী দলীয় একটি প্রতিনিধি দলকে জাতিসংঘে পাঠাবার জন্যও তিনি অনুরোধ করেছেন। এরপর সরকারি দলের মধ্যে রণে ভঙ্গ দেয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল।
হঠাৎ করে সচিবদের ডেকে এনে সংসদ বহাল রেখে মেয়াদের পূর্বেই নির্বাচনী রূপরেখা প্রকাশ করায় মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যায়। সর্বত্র একটা হতাশার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংবাদপত্রগুলোর দিকে তাকালে হতাশার গভীরতা অনুধাবন করা যায়। সর্বত্র একটা গুমোট ভাব থমথমে অবস্থা। অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বাকশাল গঠনের আকস্মিকতার সাথে তুলনা করছেন। শেখ হাসিনার পিতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৮ মে ডিসেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার ফলে সকল রাজনৈতিক কর্মকা- মিটিং মিছিল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গেল। ৭৫ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করলেন তিনি সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে তাঞ্জানিয়ার আদলে একদলীয় পদ্ধতি চালু করবেন।
২৫ জানুয়ারি মাত্র ১৩ মিনিটের অধিবেশনে একদলীয় পদ্ধতির আইন পাস করলেন। ২৫ জানুয়ারি একদলীয় পদ্ধতি সংক্রান্ত আইন পাস করার প্রাক্কালে জনাব আবুল মনসুর আহমদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজুদ্দিন আহমদ বিরোধী গ্রুপের নেতা জনাব আতাউর রহমান খানের কাছে একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে, বিরোধী নেতা আতাউর রহমান খান ওয়াক আউট করলে অন্তত ১০০ জন আওয়ামী লীগ এমপি তাকে অনুসরণ করবে। আতাউর রহমান খান ঐ বার্তায় আস্থা স্থাপন করে আশ্বস্ত হলেন যে, একদলীয় পদ্ধতির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ একটা বিরাট প্রতিবাদ হিসেবে কাজ করবে এবং শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন।
১৩ মিনিটের সংসদ অধিবেশনে একদলীয় বাকশাল বিল উত্থাপনের সাথে সাথে বিরোধী নেতা আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে বিরোধী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ সরকার, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাসহ বিরোধী গ্রুপ বহু প্রতীক্ষিত ওয়াক আউট কার্যকর করে। কিন্তু না, ওয়াক আউটের পর আতাউর রহমান খান পিছন দিকে তাকিয়ে দেখেন মোড় বড়ি খাড়া সেই ৬ জন তার পিছনে দ-ায়মান। যা হোক এদিকে একদলীয় বাকশাল আইন কণ্ঠভোটে পাস হয়ে গেল। বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একমাত্র রাজনৈতিক দল গঠিত হয়ে গেল। সংসদের মেয়াদ বিনা নির্বাচনে ৫ বৎসর বৃদ্ধি হয়ে গেল। শেখ মুজিব নিজে হলেন বাকশালের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান কিভাবে নির্বাচিত হবেন কিংবা শেখ মুজিব কত দিন চেয়ারম্যান থাকবেন পরবর্তী চেয়ারম্যান কিভাবে হবেন এর কোন ব্যাখ্যা বাকশাল আইনে ছিল না। বাকশাল আইনে বিধান রাখা হলো সকল সংসদ সদস্য বাকশালে যোগ দিতে হবে অন্যথায় তাদের সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে। দৈনিক ইত্তেফাকসহ সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হলো। রাশিয়ার প্রাভদা বা চীনের পিপলস ডেইলীর আদলে সরকারি নিয়ন্ত্রণে চারটি সংবাদপত্র রাখা হলো। শেখ মুজিব এই পরিবর্তনের নাম দিলেন দ্বিতীয় বিপ্লব। দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি শোষণমুক্ত সমাজ কায়েমের ঘোষণা দিলেন। শেখ হাসিনা সেদিন সচিবদের ডেকে যেরূপ নির্বাচনী রূপরেখা ঘোষণা করলেন  তা বাকশালেরই ভিন্নরূপ। মানুষের হাত পা বেঁধে নির্বাচন। নির্বাচন না হলেও শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন।
এর আগে তার বশংবদ প্রধান বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন তাকে বলা যায় অনাকাক্সিক্ষত রায়। এই রায়ের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক লোক দেখানোর জন্য ১০ জন এ্যামিকাস কিউরী নিয়োগ দিলেও তাদের কারোরই পরামর্শই তিনি শোনেননি। সেই রায়ের নির্দেশ মতই বাপের চতুর্থ সংশোধনীর আদলে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছেন। পিতা করেছেন দ্বিতীয় বিপ্লব। পিতার আদলে তিনি করলেন অঘোষিত তৃতীয় বিপ্লব। নির্বাচন করেন বা না করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে বহাল করে নতুনভাবে নির্দেশনা জারি করবেন। তার নাম দিবেন তৃতীয় বিপ্লব। এই বিপ্লব হবে দ্বিতীয় বিপ্লবেরই ধারাবাহিকতা। পাঠক আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে মুখে ফেনা তুললেও আজও তারা ৪র্থ সংশোধনী বা বাকশালের সমালোচনা করেনি। কিংবা আজও তারা বলেনি যে বাকশাল পদ্ধতি ছিল ভুল। বরং বাকশালের যথার্থতাই প্রচার করে থাকেন। এই প্রেক্ষাপটেই আ’লীগ সরকারের কর্মকা-কে দেখতে হবে। দ্বিতীয় বিপ্লবের অন্য এক শেখ হাসিনার তৃতীয় বিপ্লব আসছে কি না!

Tuesday, 3 September 2013

বিএনপি-জামাত মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন পায়না

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণের মনের অন্ত:স্থলে কোন দল ঢুকতে পারছেনা। তার মূল কারন হচ্ছে, দলের মানূষগুলো অবৈধ লুটপাটে ব্যস্ত এবং জনগণের সেবা করা তাঁদের মূল লক্ষ্য হলেও তাঁদের অধিকাংশই তা মোটেই করেননা। আর জনগণের স্বার্থের বিপক্ষে যারা কাজ করেন, যেমন বিভিন্ন শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীসহ আরো এধরনের ব্যক্তিবর্গ, এদের শাস্তির কোন ব্যবস্থা গ্রহনের কোন পদক্ষেপ গ্রহন তো অনেক দুরের বিষয়, এসমস্ত লোকের বিপক্ষে একটি কথাও বলেননা কোন রাজনীতিবিদ। আর এজন্যই মূলত: রাজনীতিবিদরা জনগণের আন্তরিক কোন ভালবাসা পাননা।
বিএনপি-জামাত মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন পায়না আরো দু’একটি ভিন্ন কারনে। যেমন, জামাতের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীর অবস্থান এবং তাদের বিচারে সরাসরি বাধাপ্রদান, বিচার-কাযর্ক্রমের বিরুদ্ধে দেশব্যপি জঘন্যতম সন্ত্রাসী কাযর্ক্রম পরিচালনা করা। আর বিএনপি থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে আসলে জামাতের এসমস্ত জঘন্যতম কাযর্ক্রমগুলো বিএনপি কর্তৃক সথমর্নদানের কারনে।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য যেসমস্ত আসামীর বিচারকাজ চলমান, তারা আসলেই একাত্তরে এসমস্ত অপরাধ করেছিলেন এবং মানুষ তাদের এসমস্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য আজো ঘৃণা করে, তাদের বিচার চায়। এদের অপরাধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তো বটেই, অধিকাংশ মানুষই চান, এদের চরমতম শাস্তি ফাঁসি হোক। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে ২০১৩-র ৫-ই ফেব্রুয়ারী গুটিকয়েক তরুনের শাহবাগে অবস্থান যেমনভাবে বিস্ফোরিত হয়ে গণমানুষের একান্ত প্রানের দাবীতে পরিণত হলো, সেটাই গণমানুষের এবিষয়ক অবস্থান স্পষ্ট করে।
আজকাল অনেকে বলেন, বিএনপিকে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে জামাতের সাথে তাদেরকে সম্পকর্চ্ছেদ করতে হবে। কথাটা অবশ্যই ঠিক, তবে এই সম্পকর্চ্ছেদটা এমনভাবে করতে হবে যাতে মানুষ তা বিশ্বাস করতে শুরু করে এমনভাবে যে, হাঁ, আসলেই বিএনপি জামাতের সাথে সম্পকর্চ্ছেদ করেছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য না হলে তাতে বিএনপি-রাজনীতির কোন লাভ হবেনা।
আবার শুধুমাত্র জামাতের সাথে সম্পকর্চ্ছেদ করলেই যে বিএনপির রাজনীতির লাভ হবে, তা নয়। মানুষের মনে এই বিশ্বাস তাদের সম্পর্কে আসতে হবে যে, তারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া তারা অব্যহত রাখবে, যাদের যে শাস্তি হয়েছে, তা প্রদান করবে।
এছাড়া ক্ষমতায় গেলে তারা আর দু:শাসন-অনিয়ম-অবিচার করবেনা, এসমস্ত সংস্কৃতি থেকে তারা বের হয়ে আসবে এবং এসমস্ত যারা করবে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবে। মোট কথা ক্ষমতায় গেলে দেশ পরিচালনায় সকল মানুষের মধ্যে স্বস্তির একটা পরিবেশ বিরাজ করবে, সেবিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করবেন তারা।
এই উভয়বিদ বিশ্বাস বিএনপি যদি মানুষের মনের মধ্যে জন্মাতে পারে, তবে সরকারী দল অথবা সরকার যতই দমন-পীড়ন করুক না কেন, তাদের আন্দোলন জমে উঠবে। কারন যতই যুদ্ধাপরাধীর বিচার করুক না কেন, সরকারের দু:শাসন-অনিয়ম-অবিচার দেখতে দেখতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মানুষ সবর্ক্ষেত্রে সুশাসনের, ন্যায়বিচারের পরিবেশ বিরাজমান, এরকম একটি দেশ চায়। ব্যাপক মানুষের মনে উন্নয়ন ততোটা দাগ কাটেনা, যতোটা কাটে অবিচার-অনাচার। অন্যায়-অবিচারের একটি ঘটনাই স্থায়ীভাবে মানুষের মনে গেঁথে যেতে পারে। অথচ এরকম ঘটনা ছাড়া সুশাসনের কোন ঘটনাই দেশে ঘটছেনা। মানুষ আসলে বিরক্ত। তবে বিরক্ত হলেও মানুষ বিএনপি’র উপর আরো বিরক্ত তাদের জামাত-নির্ভরতা, জঙ্গী-লালন, সরকারের কোন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করার কারনে।
পত্রিকা মারফৎ আরো জানা গেল, জামাত ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে। আসলে জামাতের প্রতি সহানুভূতিশীল লোকের সংখ্যা একান্তই অপ্রতুল। এর একমাত্র কারন এদলের সদস্যরা সহনশীল নন। জামাত একটা ক্যাডারভিত্তিক দল এবং এদলে বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি এরা নির্মম। ইসলামী দলগুলির রাজনীতি কেমন হওয়া উচিৎ, সেবিষয়ে আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে আমি মনে করি, পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ্’র ভিত্তিতে যাতে দেশ চলে, সেটাই হওয়া উচিৎ তাদের লক্ষ্য ও কাযর্ক্রম। কিন্তু এটা করতে হলে তো তাঁদেরকে হতে হবে সহনশীল। দেশে দুর্নীতির সাথে এদের কোন সম্পর্ক নাই, এরা দুর্নীতি করেননা। শুধু যদি তারা সহনশীলতা অজর্ন করতেন, তবে রাজনীতিতে অনেক কিছু অজর্ন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হত্।
বিদেশী বন্ধুদের সহায়তা এবং বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে এদের অনেক সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সম্পদগুলি যদি দরিদ্র মাদ্রাসা-ছাত্রদের আধুনিক শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষার পেছনে ব্যয় হতো এবং তাদের মধ্যে সহনশীলতার চর্চা হতো, তবে অনেক বড় আর বিশাল সহনশীল এক শক্তি তারা অজর্ন করতে পারতেন। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা তখন ডাক্তার হতো, হতো ইঞ্জিনিয়ার-গবেষক-শিক্ষক। দেশের মানুষ এই শক্তিকে তখন শ্রদ্ধা-ভালবাসা আর ভক্তিতে ক্ষমতায় বসাতেন। কিন্তু কোথায় সংগঠনটির সেরকম পরিকল্পনা! বিশেষত: ২০১৩-র পর যে কাযর্ক্রম তারা চালিয়েছে, তাতে মানুষের অবজ্ঞা-ই শুধু পেয়েছে তারা, আর কিছু নয়। এখন তো আবার বিএনপিও তাদেরকে পরিত্যাগ করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। আসলে বিএনপি তাদের পরিত্যাগ করুক বা না করুক, এরকম জামাতের দেশের কোন প্রয়োজনীয়তা কোনকালেই ছিলনা, আজো নেই, থাকবেওনা কোনদিন।
জামাতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে সহনশীল হয়ে মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষিত করে দেশের মানুষের মনে ভালবাসার স্থায়ী জায়গা করে নেবে, না-কি গণমানুষের হৃদয় থেকে স্থায়ীভাবে ছিটকে সরে যাবে যোজন যোজন দুরে। আর বিএনপিরও আসলে কোন উপায় নাই রাজনীতিতে টিকে থাকার যদি তারা মানুষের মনে এরকম বিশ্বাস অজর্ন করাতে ব্যর্থ হয় যে, তারা জামাতের সাথে সম্পকর্চ্ছেদ করেছে এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তারা দেশে আক্ষরিক অর্থেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং এদেশকে একটা সুশাসিত দেশ হিসেবে মানুষকে তারা উপহার দেবে।
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter