অপরাধী-নিরপরাধনির্বিশেষে প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে অর্পিত রয়েছে রাষ্ট্রের ওপর। মানুষের বেঁচে থাকার এই মৌলিক অধিকারটি সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করে। কিন্তু এ দেশে সেসব বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ দমনের নামে দিনের পর দিন মানুষ হত্যা করে চলেছেন, এবং সেই হত্যা–প্রক্রিয়াকে ‘ক্রসফায়ার’ ‘এনকাউন্টার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। আইনের শাসনের প্রতি এ এক বিরাট অবজ্ঞা।সাধারণত দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের সঙ্গে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কোনো ব্যক্তি প্রাণ হারালে তাঁরা তাঁকে সন্ত্রাসী, অপরাধী, মামলার আসামি হিসেবে তুলে ধরতে চান। অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো সত্য, কিন্তু কোনো ব্যক্তি অপরাধী হলেই বিচার করে তাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে হত্যা করা চলে না, বরং আইনের দৃষ্টিতে এটা অপরাধ।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা বছরের পর বছর এই অপরাধ করে চলেছেন; অপরাধ দমনের নামে এ রকম বিচারবহির্ভূত হত্যাপদ্ধতি একটা স্থায়ী ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেওয়া হিসাবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ৭২ জন! জুলাই মাসেও বেশ কয়েকটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণহানির খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের এই ধারা অব্যাহতভাবে চলছে।
কিন্তু সরকারের উপলব্ধি করা জরুরি যে এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। আইন প্রয়োগকারীদের হাতে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নামের পরিকল্পিত, সংগঠিত ও নিয়মিত অপরাধচর্চা অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা বছরের পর বছর এই অপরাধ করে চলেছেন; অপরাধ দমনের নামে এ রকম বিচারবহির্ভূত হত্যাপদ্ধতি একটা স্থায়ী ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেওয়া হিসাবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ৭২ জন! জুলাই মাসেও বেশ কয়েকটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণহানির খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের এই ধারা অব্যাহতভাবে চলছে।
কিন্তু সরকারের উপলব্ধি করা জরুরি যে এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। আইন প্রয়োগকারীদের হাতে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নামের পরিকল্পিত, সংগঠিত ও নিয়মিত অপরাধচর্চা অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
No comments:
Write comments