ফেসবুক একটি সর্বাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সাইট। এর সুফল যেমন আছে, তেমনই আছে কুফলও। বিশেষ করে কিশোর ও তরুণরা এর মাধ্যমে প্রভাবিত বেশি। একশ্রেণির তরুণ-কিশোর ফেসবুক বন্ধুদের কাছ থেকে চটজলদি লাইক বা কমেন্ট পেতে মিথ্যে, বানোয়াট ও উদ্ভট স্ট্যাটাস আপলোড করে প্রোফাইলে। মিথ্যের বেসাতি নিয়ে মেতে থাকতে থাকতে সত্যটা বেমালুম ভুলে যেতে বসে। ফেসবুক ছাড়াও যারা এমনিতে বেশি বেশি মিথ্যা চর্চা করে, তারা আসলে সত্য থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়। মিথ্যের অন্ধকারে ডুবে গিয়ে বাস্তবতা বিস্মৃত হয়ে পড়ে। অনেকের মানসিক অবসাদ বেড়ে যায়। তরুণরা লেখাপড়া ছেড়ে ফেসবুকে মিথ্যের চর্চা করতে করতে নিজেদের হারিয়ে ফেলে। স্কুল-কলেজে যাওয়া ছেড়ে দেয়। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে তাদের অনেকের কোনও যোগাযোগ থাকে না। শুধু অবসাদই তাদের পেয়ে বসে না। মানসিক রোগেও আক্রান্ত হয়ে পড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বিরাট অংশ। অবশ্য একটি খবরে জানা গেছে যে, আমেরিকান সমাজে ফেসবুকের প্রতি অনেকেই সম্প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই আকাশকুসুম কল্পনা করতে করতে তালজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শুধু কিশোর যুবকরাই নয়, প্রবীণদের মধ্যেও এ প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কোনটা সত্যি আর কোনটা বানানো এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। সাইকোলজিস্টদের মতে এর প্রভাব পড়ছে তাদের মানসিকতা ও স্মৃতিশক্তিতে। অনেকেই ডিজিটাল এ্যামেনিয়ার শিকার হয়ে পড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ইউজারদের মধ্যে ফেসবুকের পেজে যা দেখে সেটাকেই তারা বাস্তব ভাবে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাদের মন ও মস্তিষ্কে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। অবাস্তব ও রঙিন স্বপ্নজগতে তাদের বিচরণ শুরু হয়ে যায়। এই হচ্ছে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সাইটটির ব্যবহারের ভয়াবহ পরিণতি। তবে সবাই এভাবে নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে করা ঠিক নয়। এর কল্যাণময় ও উন্নয়নমূলক ব্যবহারও আছে। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ তার সৃষ্টিশীল চিন্তাচেতনা তথা প্রখর প্রতিভাকেও মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারে। উদ্বেগজনক খবর হচ্ছে ৬৮ শতাংশ ইউজার নাকি পার্টি, ইভেন্ট নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই মিথ্যে বলে। ইউজারদের মধ্যে বয়সের কোনও পার্থক্য নেই। মিথ্যের বেসাতি নাকি সবাই করে। অবশ্য সবাই এতে একমত নাও হতে পারেন।
লন্ডনের সোসাইটি অব নিউরো এ্যানালাইসিসের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট রিচার্ড শ্যেবি জানিয়েছেন, মনের কোনও অবদমিত ইচ্ছে পূরণ না হলেই মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে সাইবার ওয়ার্ল্ডে একের পর এক মিথ্যে সাজিয়ে চলে। এর ফলে মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা প্রভৃতি খারাপ লাগা মানুষকে চেপে ধরে। এটাই পরবর্তীতে মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই এখন থেকেই ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তবে এর ব্যবহার একেবারেই বাদ দেয়া যেমন বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তেমনই নিয়ন্ত্রণহীন অপব্যবহারও কাম্য এবং কল্যাণকর হতে পারে না। সবকিছুর যেমন সীমা থাকে, ফেসবুক ব্যবহারেও তেমনই সীমা অবশ্যই থাকতে হবে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই আকাশকুসুম কল্পনা করতে করতে তালজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শুধু কিশোর যুবকরাই নয়, প্রবীণদের মধ্যেও এ প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কোনটা সত্যি আর কোনটা বানানো এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। সাইকোলজিস্টদের মতে এর প্রভাব পড়ছে তাদের মানসিকতা ও স্মৃতিশক্তিতে। অনেকেই ডিজিটাল এ্যামেনিয়ার শিকার হয়ে পড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ইউজারদের মধ্যে ফেসবুকের পেজে যা দেখে সেটাকেই তারা বাস্তব ভাবে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাদের মন ও মস্তিষ্কে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। অবাস্তব ও রঙিন স্বপ্নজগতে তাদের বিচরণ শুরু হয়ে যায়। এই হচ্ছে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সাইটটির ব্যবহারের ভয়াবহ পরিণতি। তবে সবাই এভাবে নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে করা ঠিক নয়। এর কল্যাণময় ও উন্নয়নমূলক ব্যবহারও আছে। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ তার সৃষ্টিশীল চিন্তাচেতনা তথা প্রখর প্রতিভাকেও মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারে। উদ্বেগজনক খবর হচ্ছে ৬৮ শতাংশ ইউজার নাকি পার্টি, ইভেন্ট নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই মিথ্যে বলে। ইউজারদের মধ্যে বয়সের কোনও পার্থক্য নেই। মিথ্যের বেসাতি নাকি সবাই করে। অবশ্য সবাই এতে একমত নাও হতে পারেন।
লন্ডনের সোসাইটি অব নিউরো এ্যানালাইসিসের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট রিচার্ড শ্যেবি জানিয়েছেন, মনের কোনও অবদমিত ইচ্ছে পূরণ না হলেই মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে সাইবার ওয়ার্ল্ডে একের পর এক মিথ্যে সাজিয়ে চলে। এর ফলে মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা প্রভৃতি খারাপ লাগা মানুষকে চেপে ধরে। এটাই পরবর্তীতে মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই এখন থেকেই ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তবে এর ব্যবহার একেবারেই বাদ দেয়া যেমন বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তেমনই নিয়ন্ত্রণহীন অপব্যবহারও কাম্য এবং কল্যাণকর হতে পারে না। সবকিছুর যেমন সীমা থাকে, ফেসবুক ব্যবহারেও তেমনই সীমা অবশ্যই থাকতে হবে।
No comments:
Write comments