Flickr

Sunday, 21 March 2010

অশান্ত করে তোলা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম

Posted by   on

অশান্ত করে তোলা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, অখন্ডতা বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী যে চুক্তি আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘাতক দল শান্তি বাহিনীর সঙ্গে ১৯৯৬ সালে যখন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল আমরা তখনই তার বিরোধিতা করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে, এই চুক্তির ফলে ঐ অঞ্চলের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাছাড়া শান্তির বদলে অশান্তির আগুন পার্বত্য চট্টগ্রামকে গ্রাস করে ফেলবে। এরপর অনেকদিন পার হয়ে গেছে। এক দফায় আওয়ামী লীগ তার শাসনকালের মেয়াদ শেষ করেছে ২০০১ সালে। আওয়ামী লীগ তার শাসনকালে ঐ চুক্তির ধারাসমূহ পুরোপুরি বাস্তবায়নে সাহসী হয়ে ওঠেনি। বিএনপি তথা চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ও রকম একটি সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বটে, তবে আওয়ামী লীগ আমলে ঐ চুক্তির বাস্তবায়নে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল সেগুলোও রদ করা হয়নি। ফলে এরকম একটি দেশ ঘাতক চুক্তি বহালই থেকে যায়।

 এটা কবুল করতে দ্বিধা নেই যে, ২০০১-০৬ সালের শাসনকালে বিএনপি তথা জোট সরকার এমন বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনকালে আওয়ামী লীগ যেসব অপকর্ম প্রকাশ্যে ও নিভৃতে করেছিল, তার অনেক বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার সময় হয়ে ওঠেনি। জোট সরকারের শাসনকার্য পরিচালনার দিক থেকে এটি কোন শুভলক্ষণ না। সে কারণেই আওয়ামী সরকারের পাপ বিএনপি তথা চারদলীয় জোট এড়িয়ে যেতে পারে না। ঐ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এমন ছিল যে, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে রচিত স্বাধীনতা যুদ্ধে বিডিআর বাহিনীর কৃতিত্ব লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল একটি গ্রন্থে। গ্রন্থের নাম ‘মুক্তিযুদ্ধ ও রাইফেলস্।' তাতে গবেষকরা লিখেছিলেন যে, ‘১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান নিজেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক আহবান জানান।' শেখ হাসিনার সরকার দেশের সকল গ্রন্থাগার ও ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে এই বই প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ঐ সরকার ‘মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী' শিরোনামে নুতন একটি বই লিখিয়েছিল এবং যেসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ও রাইফেলস বইটি সংরক্ষিত ছিল সেসব স্থানে নতুন বইটি প্রতিস্থাপন করেছিল। জিয়াউর রহমান যে নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন বই থেকে তা বাদ দেয়া হয়েছিল। পুরাতন বইয়ে জেনারেল ওসমানিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বলে উল্লেখ ছিল। নতুন বইয়ে শব্দগুলো পাল্টে তাকে সেনাবাহিনী প্রধান বলে উল্লেখ করা হয়। কেউ কেউ ইতিহাসের এই বিকৃতির বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ২০০১-০৬-এর সরকার যে, ততোটা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি এ থেকে সে কথাও প্রমাণিত হয়। পারলে এই ঘাটতিগুলো অপূর্ণ থাকতো না।

 তবে এ কথাও সত্য যে, জোট সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের তথাকথিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্যও নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত জোরদার হয়ে ওঠে। সে চক্রান্তকারীরাও শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শোষণ লুণ্ঠনের লোভী ছিল না। তারা ছিল বাংলাদেশের অখন্ডতা বিরোধী অপশক্তি। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন হয়েছিল জেনারেল মঈনের মত একদল বিশ্বাসঘাতক রাষ্ট্রদ্রোহী চক্র। তারা তাদের সঙ্গেই ‘অাঁতাতের মাধ্যমে' ক্ষমতাসীন হয়েছে বর্তমান মহাজোট সরকার। বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিবেচনায় নিলে সুস্পষ্টভাবে ধারণা জন্মাতে বাধ্য যে বর্তমান সরকার নয়, রাষ্ট্র পরিচালনা করছে ভিন্ন কেউ। যাদের নির্দেশে মঈন উ আহমেদের সরকার পরিচালিত হত বর্তমান সরকারও তাদের নির্দেশ ও কৃপায় পরিচালিত হচ্ছে।

 বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঈন উ আহমেদের সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে। তাকে ‘অন্যায়ভাবে' জেলে আটক রাখার কথা বলেছেন। তাকে বন্দী অবস্থায় মানসিক নির্যাতনের কথা বলেছেন। তেমনিভাবে তাকে হত্যার জন্য বিষ প্রয়োগের কথা বলেছেন। তারপরেও ঐ নির্যাতনকারী ও হত্যার অপচেষ্টাকারীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারছেন না। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, মঈনুদ্দীন আহমদ যাদের হাতের পুতুল ছিলেন বর্তমান সরকারও তাদেরই হাতের পুতুল। এক পুতুল কি করে আরেক পুতুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আর সেই কারণে বাংলাদেশ বিরোধী চক্রের নির্দেশনা মতোই সম্ভবত এবার ক্ষমতাসীন হয়েই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছে। এবং যথারীতি পার্বত্য চট্টগ্রামেরও পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে।

 পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে এখন আর কারো মধ্যেই কোন লুকানো ছাপানোর ব্যাপার নেই। আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা নানা নামে বাংলাদেশে এসে প্রকাশ্যে বলতে সাহস পাচ্ছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল বাংলাভাষাভাষীকে বহিষ্কার করে সেখানে শুধু উপজাতীয়দের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী প্রায় ১২ লাখ বাসিন্দার অর্ধেক বাংলা ভাষাভাষী। এসব ষড়যন্ত্রকারী এমন কথা বলারও সাহস পাচ্ছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষীরা যদি স্থলভাগে এসে বসতি স্থাপন করতে চায় তবে তাদের দেয়া হবে নগদ অর্থ, ঘর এবং গরু। সরকার শুধু তাদের জন্য খাস জমি দিক। কিন্তু কেন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভেতরে বাংলাদেশের এক দশমাংশ অঞ্চল বসবাসের জন্য ছেড়ে দিতে হবে মাত্র ৫ লাখ উপজাতীয়দের জন্য। অথচ সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক দেশের যেকোন প্রান্তে বসতি স্থাপনের অধিকার রাখে। যারা উপজাতীয়দের জন্য দরদে গদগদ হয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী এমন কথা বলছেন, সরকারের তো উচিত ছিল তাদের সঙ্গে সঙ্গে গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশ বিরোধী স্বঘোষিত বিভিন্ন ভূঁইফোড় সংগঠনের ঐসব অপগন্ড ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী গদগদ হয়ে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন। তাদের চক্রান্ত প্রাথমিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাঙালিমুক্ত করে সেখানে একটি খৃস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং তার মাধ্যমে মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন ও দুর্বল করে ফেলা। আর সে রকম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সংযোগ প্রতিষ্ঠা করে ঐ অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া। পার্বত্য চট্টগ্রামে সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিমধ্যে উপজাতীয়দের ব্যাপকভাবে খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজ শুরু করেছে খৃস্টান মিশনারীগুলো ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এদের সঙ্গে যুক্ত আছে আরও কিছু বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তকারী রাষ্ট্র। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মুসলিম নামধারী কোনো এনজিও সেখানে উপজাতীয়দের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করলেও হায় হায় রব ওঠে। কিন্তু শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র উপজাতীয়দের পাইকারিহারে নানা লোভ দেখিয়ে খৃস্টান করলে তাদের ধর্ম সংস্কৃতিও নষ্ট হয় না, হায় হায় রবও ওঠে না।

 এই সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত সরকারের না বোঝার কোনো কারণ নেই। তারপরও তারা চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে বসেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা সেখানে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, দখল, জখম, ধর্ষণের মতো নৃশংস কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বাঙালিরা জমি চাষ করতে গেলে চাঁদা, জমির ফসল বিক্রি করতে গেলে চাঁদা, গরু পালন করতে চাইলে চাঁদা, পোল্ট্রি ফার্ম দিতে চাইলে চাঁদা, দোকান-পাট বসাতে চাইলে চাঁদা-এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে বসবাসরত বাঙ্গালিরা এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়ে কোনো ফল পায়নি।

 ফলে ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিল সেখানে বসবাসরত বাঙালিরা। উপজাতীয়দের আবার কোনো এক গ্রুপকে চাঁদা দিলেই যথেষ্ট নয় তাদেরও আছে ভিন্ন ধরনের প্রতিদ্বনদ্বী গ্রুপ। তারা কেউ কেউ শান্তি চুক্তির সমর্থক, কেউ কেউ শান্তি চুক্তি বিরোধী। বাঙালিদের এই উভয় গ্রুপকে চাঁদা দিয়ে চলতে হবে। এই অবস্থা কেন মেনে নেবে তারা? এর মধ্যে সরকার ভূমি কমিশন গঠন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ভূমির অধিকার চিরতরে লুপ্ত করার এক মরণ খেলায় লিপ্ত হয়েছে। এই ভূমি জরিপ নিয়ে বিরোধের কারণে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী উপজাতীয় রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১৫টি গ্রামে বাঙালিদের বসতিতে হামলা চালিয়ে একযোগে দুই শতাধিক ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন সেনাবাহিনী তলব করে। উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর ওপর বৃষ্টির মতো গুলী বর্ষণ শুরু করে। সেনাবাহিনীও এর পাল্টা জবাব দেয়। ফলে সেখানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এলাকার দিকে অগ্রসর হলে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাদের তিনঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। সাজেক এলাকা থেকে ফেরার পথে মাচালবং নামক স্থানে কাঠের সেতু জ্বালিয়ে দিয়ে খাগড়াছড়ির ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহীনকে আটক করে রাখে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ঘটনার জের ধরে সেখানে বসবাসকারী বাঙালিরাও প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছে। পরদিন বাঘাইছড়ির ইউএনও'র ওপর হামলা করে তার গাড়ি ভাংচুর করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। বেশ কয়েকঘণ্টা সাংবাদিকদের নিয়ে অবরুদ্ধ থাকেন তিনি। ২০ তারিখ থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐ এলাকায় রাতে কারফিউ ও দিনে ১৪৪ ধারা চলছে। এত কিছুর পরও গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে উপজাতীয়রা আগুন লাগিয়ে বাঙালিদের ছয়টি পরিবারের সব কিছু জ্বালিয়ে ভষ্ম করে দিয়েছে। এখনও সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সাময়িকভাবে ঘটনা স্তিমিত হয়ে এলেও সরকারের বর্তমান মনোভাব ও পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে সেখানে স্থায়ী সমাধান অর্জন সম্ভব হবে না।

 পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় বাসিন্দাদের পক্ষে দাঁড়াবার লোকের অভাব নেই। জাতিসংঘের ইউএনডিপি আছে, তথাকথিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন' আছে। আর কিছু ইউরোপীয় ইহুদী ঘরানার রাষ্ট্র আছে। আর দেশের ভেতরে আছে বাঙালি মুসলমান নামধারী কিছু অপগন্ড। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা শহীদ মিনারে ছুটে গিয়ে সেখানকার বাঙালি বাসিন্দা ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেন। তাদের পক্ষে মিছিল নিয়েও নামেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাঙালিদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। উন্মুক্ত সীমান্তের ফলে পাওয়া ভারত থেকে আসা অস্ত্র দিয়ে বৃষ্টির মত গুলী ছুঁড়েছে। বাঙালিদের বসতঘরে, দোকান-পাটে আগুন লাগিয়েই যাচ্ছে। তবুও তারা বলতে চাইছেন ঘটনার জন্য বাঙালিরা ও সেনাবাহিনীই দায়ী। অথচ সেনাবাহিনী নিজে থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়নি। বেসামরিক প্রশাসন শান্তি-শৃক্মখলা রক্ষায় তাদের ডেকে এনেছিল বলেই তারা সেখানে এসেছেন।

 আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে বসবাসকারী বাঙালি ও উপজাতীয়রা বাংলাদেশেরই নাগরিক। তাই সকল ক্ষেত্রে তাদের অধিকার সমান। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। -ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter