স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিক নির্যাতন
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই বিরোধী দলীয় এবং তাদের অপছন্দনীয় সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়ে। স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও দলনিরপেক্ষ সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতন চলে। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ মাসের শাসনামলে দল-মত-পত্র-পত্রিকার নীতি অবস্থান নির্বিশেষে যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, তার নজীর সভ্য দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু সংখ্যার দিক থেকেই নয়, সাংবাদিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে যে বেপরোয়া নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুর্বৃত্তদের পক্ষেই হয়তো সম্ভব। হাতুড়িপেটা করে সাংবাদিকের হাত ভেঙ্গে দেয়া কিংবা মাথা ফাটানো, শরীর থেতলে দিয়ে সাংবাদিককে মৃতপ্রায় অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করার যে সিলসিলা সরকারের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অন্যান্য সংগঠনের ক্যাডাররা যেভাবে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠু সাংবাদিকতার ধারা রুদ্ধ করতে হিংস্র ও মারমুখী আচরণ করতে শুরু করেছে, তাতে দেশকে আবারও অঘোষিত বাকশালের একদলীয় অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেবার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এমনিই বলা হয়ে থাকে যে, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে ফ্যাসিবাদী এবং রাজনৈতিকভাবে তারা বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার সাথে সহাবস্থান করতে পারে না। বিগত ২৯ ডিসেম্বরের ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন পরিচালিত পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে সরকার গঠন করার পর ক্ষমতা দলীয়করণের হিংস্রতা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সংসদে ও সংসদের বাইরে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের ভিন্নমত দলনের রাজনৈতিক কদাচার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে দলের সর্বত্র তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। সাবেক কেয়ারটেকার সরকারের আমলে দায়ের করা রাজনৈতিক নেতাদের মামলাগুলোকে সরকার বাছাই করে নিজ দলের নেতা-নেত্রীদের শত শত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ তাদের অন্যান্য নেতার মামলা বহাল রাখাই শুধু নয়, তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক নতুন নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ হাজারের বেশি মামলা দিয়েছিল। বিরোধীদলের প্রতি সরকারের দমন-পীড়ন এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের সূত্রেই ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ শাসকদলের ক্যাডাররা রাষ্ট্র-সরকারের আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে নিজেরাই এক একজন ক্ষুদে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসেছেন। এই পটভূমিতেই দেশব্যাপী ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সন্ত্রাস ও অপরাধে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হল ও ক্যাম্পাস থেকে প্রতিপক্ষের ছাত্র সংগঠনকে বহিষ্কার করে ক্যাম্পাস ও হল দখলের নজীরবিহীন সন্ত্রাসে ছাত্রলীগকে সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা আস্কারা দিয়ে এসেছেন। একই সাথে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের খয়ের খাঁ ধাঁচের অধ্যক্ষ ও ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ করার ফলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্র নিপীড়ন ও ভর্তি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক অভিভাবকত্ব থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার ঘোষণা এবং মৃদু ভৎর্সনা ছাত্রলীগের ক্যাডারদের অপরাধবৃত্তি থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এই বেপরোয়া ও দুরন্ত ‘সোনার ছেলেদের' হাতেই সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বেশি। তবে এদের পেছনে সরকারি দলের কোনো কোনো দুর্নীতিবাজ নেতা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিদের ইন্ধন থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সরকারের দমন-পীড়ন ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে সরকারি দলের ক্যাডারদের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না। শুধু সরকারি দলের রাজনৈতিক ক্যাডারই নয়, পুলিশ ও র্যা বের দ্বারাও সরাসরি নির্যাতিত ও প্রহৃত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়ে বা হত্যার হুমকি পেয়ে থানায় মামলা করতে গিয়েও অনেক সময় পুলিশ মামলা নেয় না। অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শাসক দলের দায়ের করা মামলা গ্রহণ ও সমন জারির ব্যাপারে থানা ও আদালতের উৎসাহের অন্ত নেই। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, তার পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আমেরিকান একটি তেল কোম্পানির সাথে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশের দায়ে ঐ পত্রিকার সম্পাদক-রিপোর্টারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ২৭টি মামলা করা হয়েছে। সরকারি দলের দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে ঐ পত্রিকার সম্পাদককে প্রতিহত করার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়ার পর তার ও রিপোর্টারের জীবননাশের লক্ষ্যে হামলা হয়েছে। এমনকি ঐ সম্পাদককে লন্ডনেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।
এদিকে এ পর্যন্ত সরকারি দলের ক্যাডারদের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন সারাদেশে দু' ডজন মফস্বল সাংবাদিক। এর মধ্যে সরকারি ঘরানার পত্রিকার রিপোর্টারও রয়েছেন। রয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। গত রোববারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা দু'জন সাংবাদিককে প্রহার করে গুরুতর জখম করেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আশঙ্কা ও লজ্জার কথা, শাহবাগ থানার পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ঐ দুই সাংবাদিককে নির্যাতন করেছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল সভাপতির ওপর যখন ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছিল, তখনও পুলিশ কোনো অ্যাকশন নেয়নি। থানা ও পুলিশ প্রশাসনকে সরকারের রাজনৈতিক পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিধায় ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনা ও সন্ত্রাস নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নির্যাতন বিরোধী মহাসমাবেশ থেকে আগত নির্যাতিত ও কর্মরত সাংবাদিকদের প্রায় দু'হাজার প্রতিনিধি সরকারের প্রতি সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ১৫ জুনের মধ্যে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিকার না হলে তারা ১৬ জুন সংবাদপত্র নিষিদ্ধকরণের কালো দিবসে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তবে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বদলে প্রত্যাঘাতেরও চিন্তা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটা মামলা হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দিয়ে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে। বিরুদ্ধ মতের সাংবাদিক এবং শাসকদলের অপছন্দের রিপোর্ট প্রকাশের জন্য ক্রুদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের হাতুড়িপেটা করে পঙ্গু করে দেয়ার বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, গণতান্ত্রিক সমাজেরও সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত এবং সাংবাদিকরা হচ্ছেন জনমতের বাহন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দানে যে সরকার উদাসীন কিংবা ব্যর্থ, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অর্থ হচ্ছে, গণতন্ত্রের কবর রচনার সুযোগ দেয়া। দেখা যাচ্ছে, সরকারি পেটোয়া বাহিনীর হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ব্যাপারে সরকারি ঘরানার সম্পাদক-সাংবাদিকরা প্রতিবাদে শামিল হতে অনিচ্ছুক। এদিকে সরকার ‘অসত্য' ও ‘অপছন্দনী'য় খবর প্রকাশের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য এটাই স্বাভাবিক। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের পক্ষে যারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বর্জন করে তথ্য-সন্ত্রাস ও চরিত্র হননের গল্প রচনা করছে, তারাও জনরোষের শিকার হবেন। সাংবাদিকতার বস্তুনিষ্ঠতা ও দলনিরপেক্ষ ভূমিকা এবং পেশাগত অবস্থান থেকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধই কেবল সরকারকে নির্বৃত্ত করতে পারে।
সরকারের দমন-পীড়ন ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে সরকারি দলের ক্যাডারদের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না। শুধু সরকারি দলের রাজনৈতিক ক্যাডারই নয়, পুলিশ ও র্যা বের দ্বারাও সরাসরি নির্যাতিত ও প্রহৃত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়ে বা হত্যার হুমকি পেয়ে থানায় মামলা করতে গিয়েও অনেক সময় পুলিশ মামলা নেয় না। অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শাসক দলের দায়ের করা মামলা গ্রহণ ও সমন জারির ব্যাপারে থানা ও আদালতের উৎসাহের অন্ত নেই। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, তার পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আমেরিকান একটি তেল কোম্পানির সাথে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশের দায়ে ঐ পত্রিকার সম্পাদক-রিপোর্টারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ২৭টি মামলা করা হয়েছে। সরকারি দলের দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে ঐ পত্রিকার সম্পাদককে প্রতিহত করার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়ার পর তার ও রিপোর্টারের জীবননাশের লক্ষ্যে হামলা হয়েছে। এমনকি ঐ সম্পাদককে লন্ডনেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।
এদিকে এ পর্যন্ত সরকারি দলের ক্যাডারদের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন সারাদেশে দু' ডজন মফস্বল সাংবাদিক। এর মধ্যে সরকারি ঘরানার পত্রিকার রিপোর্টারও রয়েছেন। রয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। গত রোববারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা দু'জন সাংবাদিককে প্রহার করে গুরুতর জখম করেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আশঙ্কা ও লজ্জার কথা, শাহবাগ থানার পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ঐ দুই সাংবাদিককে নির্যাতন করেছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল সভাপতির ওপর যখন ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছিল, তখনও পুলিশ কোনো অ্যাকশন নেয়নি। থানা ও পুলিশ প্রশাসনকে সরকারের রাজনৈতিক পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিধায় ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনা ও সন্ত্রাস নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নির্যাতন বিরোধী মহাসমাবেশ থেকে আগত নির্যাতিত ও কর্মরত সাংবাদিকদের প্রায় দু'হাজার প্রতিনিধি সরকারের প্রতি সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ১৫ জুনের মধ্যে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিকার না হলে তারা ১৬ জুন সংবাদপত্র নিষিদ্ধকরণের কালো দিবসে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তবে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বদলে প্রত্যাঘাতেরও চিন্তা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটা মামলা হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দিয়ে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে। বিরুদ্ধ মতের সাংবাদিক এবং শাসকদলের অপছন্দের রিপোর্ট প্রকাশের জন্য ক্রুদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের হাতুড়িপেটা করে পঙ্গু করে দেয়ার বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, গণতান্ত্রিক সমাজেরও সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত এবং সাংবাদিকরা হচ্ছেন জনমতের বাহন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দানে যে সরকার উদাসীন কিংবা ব্যর্থ, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অর্থ হচ্ছে, গণতন্ত্রের কবর রচনার সুযোগ দেয়া। দেখা যাচ্ছে, সরকারি পেটোয়া বাহিনীর হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ব্যাপারে সরকারি ঘরানার সম্পাদক-সাংবাদিকরা প্রতিবাদে শামিল হতে অনিচ্ছুক। এদিকে সরকার ‘অসত্য' ও ‘অপছন্দনী'য় খবর প্রকাশের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য এটাই স্বাভাবিক। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের পক্ষে যারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বর্জন করে তথ্য-সন্ত্রাস ও চরিত্র হননের গল্প রচনা করছে, তারাও জনরোষের শিকার হবেন। সাংবাদিকতার বস্তুনিষ্ঠতা ও দলনিরপেক্ষ ভূমিকা এবং পেশাগত অবস্থান থেকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধই কেবল সরকারকে নির্বৃত্ত করতে পারে।
No comments:
Write comments