দুর্নীতি ব্যবসা ও রাজনীতি
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব গোলাম রহমান গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, বর্তমান বাস্তবতা ও নাগরিক উদ্বেগ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন এবং ব্যবসা ও রাজনীতিকে আলাদা করা না গেলে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা যাবে না। তিনি বলেছেন যে, দুর্নীতি নির্মূল করার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই, কিন্তু তারাও পারছে না। কারণ রাজনীতির সাথে এখন ব্যবসা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যবসা ও রাজনীতির অাঁতাতের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির বীজ। বিশেষ করে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি রোধ করতে হলে এই অাঁতাত ভাঙ্গা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন যে, দোষী কি নির্দোষ তা প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিচারিক আদালতে গিয়েছেন। তিনি দুদককে প্রভাবিত করছেন না। এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অঙ্গীকারের প্রমাণ।
দুদকের চেয়ারমানের এই বক্তব্যকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। তিনি দুর্নীতি দমনের জন্য রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিষয়টি তিনি স্পষ্ট না করলেও এর অর্থ যদি রাজনৈতিক সহনশীলতা, সংযম, প্রতিদ্বনদ্বী নির্মূলের প্রবণতারোধ এবং অর্থবিত্ত আহরণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার না করা বুঝায় তাহলে আমরা তার সাথে একমত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন তাতে তাকে প্রধানমন্ত্রীর মুখপত্র বলেই মনে হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান নয়। তার কথাকে আমরা সত্য বলে মেনে নিতে পারি না কেননা প্রধানমন্ত্রীর সরকার তিনিসহ তার দলের সকল নেতানেত্রীর দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্যই আদালতে গেছেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি মহৎ হতো তাহলে ট্রায়ার কোর্টেই তারা অভিযোগ মোকাবিলা করতেন। আবার কমিশন চেয়ারম্যান ব্যবসা এবং রাজনীতিকে আলাদা করার যে কথা বলেছেন দুর্নীতি দমনের নিয়ামক হিসেবে তার গুরুত্ব আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজনীতিকদের একটা পেশা দরকার সেটা ব্যবসা হলে আপত্তি থাকার কথা নয়। ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করবেন না, দেশের এমন কোন আইন নেই। এক্ষেত্রে আপত্তিকর যা তা হচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যবসা নয়। ব্যবসাকে দোষারোপ করলে সকল পেশাকে দোষারোপ করতে হয়, যা করা উচিত হতে পারে না। বলা বাহুল্য দুনিয়ার সব সমাজেই দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতির ধরন প্রকৃতি ও ব্যাপকতা বিভিন্ন রকমের হলেও এর মূল কারণ এক এবং অভিন্ন বলে আমরা মনে করি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব এবং দুর্নীতি নিরসনে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকারের অনুপস্থিতি ক্ষমতার মদমত্ততা, দলীয় নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের প্রবণতা, বৈধ অবৈধ বা হালাল হারামের অনুভূতি হ্রাস ও আখেরাতের বিচারের প্রতি নির্লিপ্ততা ব্যক্তি ও দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে উৎসাহিত করে। ধন সম্পদ আহরণে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে যেন তেন প্রকারে অর্থবিত্ত সংগ্রহ এবং ভোগ বিলাসে সবাইকে টেক্কা দেয়ার মানসিকতাও দুর্নীতির অন্যতম কারণ। এর সাথে যদি সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট ও দুর্বল নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং বিতর্কিত বিচার ব্যবস্থা যোগ হয় তাহলে সমাজে দুর্নীতিগ্রস্ততা আরো বৃদ্ধি পায়। এক এগারো উত্তর বিগত সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে দুর্নীতি নির্মূলের একটি স্বপ্নের সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্স এক্ষেত্রে যে আবহের সৃষ্টি করেছিল তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি এসেছিল তেমনি দুর্নীতিগ্রস্ততা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ পরবর্তীকালে যখন সরকারের দুর্নীতি দমন অভিযান রাজনীতি দমন অভিযানে রূপান্তরিত হয় তখন মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে। ক্ষমতাসীনরাই এক্ষেত্রে দুর্নীতির চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। ওয়ান ইলেভেনের সামরিক বেসামরিক কিছু নায়ক আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি হয়ে যাবার অভিযোগ ওঠে এবং অাঁতাতের নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসেন তারা দুর্নীতি দমন নয়, দুর্নীতিকে স্থায়িত্ব দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে মনে হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দায়ের করা সকল মামলা (এমন কি খুনের মামলাও) প্রত্যাহার করে তারা যে নজির সৃষ্টি করেছেন তা অনন্য। পক্ষান্তরে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একই কারণে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে মামলা রুজু করেছিলেন সেগুলো তারা প্রত্যাহার না করে এক যাত্রায় দুই ফলের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন এবং নতুন মামলাও দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দুর্নীতি প্রসারে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সরকারি দল ও তার অংগ সংগঠনসমূহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, দলীয়করণ স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে দুর্নীতি প্রসারের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। আইনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ থাকলে বিশেষ করে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আখেরাতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয় থাকলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে না। সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি নিজেদের জন্য যদি কোনো শাসকগোষ্ঠী হালাল ও অন্যদের জন্য হারাম মনে করে তা হলে সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা কখনো সম্ভবপর নয়। এ প্রেক্ষিতে সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনা, নিরপেক্ষতার সাথে দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিষেধক ব্যবস্থা হিসেবে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ, নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি কাজ নিশ্চিত করার জন্য মানুষ একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দুদক চেয়েছিল। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যায় যে দুদক কার্যতঃ ক্ষমতাসীনদের বশংবদ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দুদকের মূল আইনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সুবিধা অনুযায়ী সংশোধন করে রাজনৈতিক প্রতিদ্বনদ্বীদের ঘায়েল করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় দুদকের চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে অক্ষমের অজ্ঞতা ও হতাশার অভিব্যক্তি বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে বলে আমরা মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন যে, দোষী কি নির্দোষ তা প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিচারিক আদালতে গিয়েছেন। তিনি দুদককে প্রভাবিত করছেন না। এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অঙ্গীকারের প্রমাণ।
দুদকের চেয়ারমানের এই বক্তব্যকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। তিনি দুর্নীতি দমনের জন্য রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিষয়টি তিনি স্পষ্ট না করলেও এর অর্থ যদি রাজনৈতিক সহনশীলতা, সংযম, প্রতিদ্বনদ্বী নির্মূলের প্রবণতারোধ এবং অর্থবিত্ত আহরণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার না করা বুঝায় তাহলে আমরা তার সাথে একমত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন তাতে তাকে প্রধানমন্ত্রীর মুখপত্র বলেই মনে হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান নয়। তার কথাকে আমরা সত্য বলে মেনে নিতে পারি না কেননা প্রধানমন্ত্রীর সরকার তিনিসহ তার দলের সকল নেতানেত্রীর দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্যই আদালতে গেছেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি মহৎ হতো তাহলে ট্রায়ার কোর্টেই তারা অভিযোগ মোকাবিলা করতেন। আবার কমিশন চেয়ারম্যান ব্যবসা এবং রাজনীতিকে আলাদা করার যে কথা বলেছেন দুর্নীতি দমনের নিয়ামক হিসেবে তার গুরুত্ব আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজনীতিকদের একটা পেশা দরকার সেটা ব্যবসা হলে আপত্তি থাকার কথা নয়। ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করবেন না, দেশের এমন কোন আইন নেই। এক্ষেত্রে আপত্তিকর যা তা হচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যবসা নয়। ব্যবসাকে দোষারোপ করলে সকল পেশাকে দোষারোপ করতে হয়, যা করা উচিত হতে পারে না। বলা বাহুল্য দুনিয়ার সব সমাজেই দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতির ধরন প্রকৃতি ও ব্যাপকতা বিভিন্ন রকমের হলেও এর মূল কারণ এক এবং অভিন্ন বলে আমরা মনে করি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব এবং দুর্নীতি নিরসনে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকারের অনুপস্থিতি ক্ষমতার মদমত্ততা, দলীয় নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের প্রবণতা, বৈধ অবৈধ বা হালাল হারামের অনুভূতি হ্রাস ও আখেরাতের বিচারের প্রতি নির্লিপ্ততা ব্যক্তি ও দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে উৎসাহিত করে। ধন সম্পদ আহরণে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে যেন তেন প্রকারে অর্থবিত্ত সংগ্রহ এবং ভোগ বিলাসে সবাইকে টেক্কা দেয়ার মানসিকতাও দুর্নীতির অন্যতম কারণ। এর সাথে যদি সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট ও দুর্বল নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং বিতর্কিত বিচার ব্যবস্থা যোগ হয় তাহলে সমাজে দুর্নীতিগ্রস্ততা আরো বৃদ্ধি পায়। এক এগারো উত্তর বিগত সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে দুর্নীতি নির্মূলের একটি স্বপ্নের সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্স এক্ষেত্রে যে আবহের সৃষ্টি করেছিল তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি এসেছিল তেমনি দুর্নীতিগ্রস্ততা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ পরবর্তীকালে যখন সরকারের দুর্নীতি দমন অভিযান রাজনীতি দমন অভিযানে রূপান্তরিত হয় তখন মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে। ক্ষমতাসীনরাই এক্ষেত্রে দুর্নীতির চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। ওয়ান ইলেভেনের সামরিক বেসামরিক কিছু নায়ক আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি হয়ে যাবার অভিযোগ ওঠে এবং অাঁতাতের নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসেন তারা দুর্নীতি দমন নয়, দুর্নীতিকে স্থায়িত্ব দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে মনে হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দায়ের করা সকল মামলা (এমন কি খুনের মামলাও) প্রত্যাহার করে তারা যে নজির সৃষ্টি করেছেন তা অনন্য। পক্ষান্তরে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একই কারণে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে মামলা রুজু করেছিলেন সেগুলো তারা প্রত্যাহার না করে এক যাত্রায় দুই ফলের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন এবং নতুন মামলাও দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দুর্নীতি প্রসারে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সরকারি দল ও তার অংগ সংগঠনসমূহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, দলীয়করণ স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে দুর্নীতি প্রসারের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। আইনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ থাকলে বিশেষ করে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আখেরাতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয় থাকলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে না। সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি নিজেদের জন্য যদি কোনো শাসকগোষ্ঠী হালাল ও অন্যদের জন্য হারাম মনে করে তা হলে সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা কখনো সম্ভবপর নয়। এ প্রেক্ষিতে সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনা, নিরপেক্ষতার সাথে দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিষেধক ব্যবস্থা হিসেবে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ, নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি কাজ নিশ্চিত করার জন্য মানুষ একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দুদক চেয়েছিল। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যায় যে দুদক কার্যতঃ ক্ষমতাসীনদের বশংবদ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দুদকের মূল আইনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সুবিধা অনুযায়ী সংশোধন করে রাজনৈতিক প্রতিদ্বনদ্বীদের ঘায়েল করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় দুদকের চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে অক্ষমের অজ্ঞতা ও হতাশার অভিব্যক্তি বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে বলে আমরা মনে করি।
No comments:
Write comments