আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি? কেবল মুখে উচ্চারণ করে নয়, পাখির বুলির মতন গান গেয়েই নয়, আমাদের প্রমাণ করতে হবে আব্দুল হাকিমের সেই মহতী উচ্চারণ ঘৃণার সাথে। যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন'জানি। আমরা এমন নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হতে চাই না, আমরা বুক উঁচু করে বলতে পারি। মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।

ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর এবার। গর্বিত অধ্যায়ের এক গৌরবময় অর্জনের সমুজ্জ্বল এই কাল। কিন্তু প্রত্যাশা কিংবা দাবি অনুযায়ী প্রাপ্তির পরিধান লক্ষ্য করলে কেবল দুঃখ আর লজ্জাই বোধহয় সময়টাকে গ্রাস করবে। '৪৮ কিংবা '৫২ যে সময়ই বলুন না কেন আমাদের দাবি ছিল 'অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই', সব ভাষার সমান মর্যাদা চাই। সেই দাবি বা রক্ত দেয়া অধিকার আদায় করার লড়াইয়ে যে মানুষের সমর্থন ছিল, তা বলা যাবে না। কারণ যারা সেদিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অন্ধ ভক্ত ছিলেন, মুসলিম লীগকে চোখ বুজে সমর্থন দিয়ে এসেছেন, তাদের মধ্যেও এমন একটি নাড়া লেগেছিল, যা থেকে মানুষের সংহতি আরো জোরদার হয়েছিল সেদিন। মর্মান্তিক ছাত্র হত্যার রক্তপাতে প্রত্যেকটি মানুষ লীগশাহীর বিরুদ্ধে ঘৃণায় ফেটে পড়ে ছিলেন।
'আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' সেস্নাগানটা দিয়ে ছিলাম কারণ পূর্ববাংলায় তখন সাড়ে চার কোটি মানুষের বসবাস। তাদের মাতৃভাষা বাংলা। যথার্থ কারণেই বাংলার দাবি উঠেছিল। আমরা ছিলাম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক। পাকিস্তানের পশ্চিমে পাঞ্জাবি, পশতু, সিন্ধি ও বেলুচ ভাষায় কথা বলার সংখ্যা খুবই সীমিত এবং সারা পাকিস্তানের লোকসংখ্যা তখন সাত কোটি। অন্যদের চেয়ে আমরা পূর্ববঙ্গীয় মানুষ সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও আমরা একই সাথে সব আঞ্চলিক ভাষার সমান মর্যাদা দাবি করেছিলাম। আমরা প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী ছিলাম, চেতনায় ছিল অসাম্প্রদায়িক ভাবনা_ যা সেদিন কোনো কূপম-ুকতার শিকার হতে পারেনি। আমাদের মানসিকতায় কোনো বৈরী মনোভাব স্পর্শ করতে পারেনি। আমরা তো বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবেই দাবি করলাম। ইংরেজি বা উর্দুর প্রতি কোনো অনীহা ছিল না। আমাদের দাবি ছিল গণতান্ত্রিক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দাবি। কিন্তু সেদিন যে অনৈক্যের বীজ বপন করেছিল মুসলিম লীগ, সেই নীতিই তাদের কাল হলো। অথচ যে উর্দুর জন্য এত ফ্যাসাদ, প্রাণহরণ, মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন সেই ভাষা কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের কোনো এলাকারই মাতৃভাষা কেন প্রচলিত কোনো ভাষাই ছিল না। তারপরও আমাদের উদারতায় আমরা উর্দুকেও বর্জন করতে বলিনি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, উর্দুর্ভাষী মানুষ যারা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন, তারা পর্যন্ত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাংলাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং জুলুম সহ্য করেছেন। উর্দুভাষী শিক্ষাবিদ, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই আমাদের সংগ্রামকে সমর্থন করেছেন। এ প্রসঙ্গে, ভাষাসৈনিক ড. ইউসুফ হাসানের কথা সবার আগে উল্লেখ করতে চাই। তিনি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক চৈতন্যের মানুষ পৃথিবীটাকে শ্রেণী বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব মানুষের জন্য প্রস্তুত করার একজন সচেতন নিষ্ঠাবান সংগঠক ছিলেন, আজ তিনি নবতীপর বয়সে নূ্যব্জ অথচ পরম পরিতাপের বিষয়, আজ জীবিত সে বয়োজ্যেষ্ঠ ভাষা সংগ্রামী ড. ইউসুফ হাসানকে রাষ্ট্র আজো তাকে কোনো সম্মান প্রদান করেনি। এছাড়া সৈয়দপুরের কবি আদীব সোহেল, ঢাকার নওশাদ নূরী, ফতেহ ফারুক, আরিফ হুসিয়ারপুরী, আহমদ ইলিয়াস, সুরুর বারা বান্ধভী এবং অনেক তরুণ উর্দুর্ভাষী সচেতন নাগরিকবৃন্দ। যাদের উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রজন্মের এবং বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী তরুণরা লড়াই করে তারা এই বাংলার নাগরিক হিসেবে নিজেদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শুধু তাই নয়, উর্দুভাষী সাহিত্যিক-প-িতজনদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মাইকেল, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুবাদ করার মতো দক্ষ বরেণ্যজনও রয়েছেন। এদের অবদান সম্পর্কে আমরা তো জানিই না, জানলেও আজো কোথাও বলি না। উর্দুভাষী হলেই যে তারা বাংলার বিরুদ্ধে নন কা ছিলেন না, এটা মনে রাখা উচিত।
আমরা যেমন অন্যান্য ভাষার বিরোধিতা করিনি কোনোদিনও, তেমনি সব মাতৃভাষাই মর্যাদাপূর্ণ হোক, এটাও আমাদের কাম্য। তাইতো যারা বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন দিয়ে সেদিন পাকিস্তান আমলে সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন, তাদের প্রতি আমাদের কোনো গাত্রক্রোধ থাকবার কথা নয়, অথচ উর্দুভাষী হলেই আমরা তাদের বাংলাভাষার শত্রু ভেবে তাদের অতীত অবদানের কথা বেমালুম উড়িয়ে দি। এই আচরণ অতীব দুঃখজনক। কারো প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করা তো দূরের কথা আমাদের মধ্যে কোনো মালিন্য ছিল না। কারো বিরুদ্ধে ছিল না কোনো ক্ষোভ। যেমন আমরা নিজ মাতৃভাষার জন্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলাম, তেমনি অন্য ভাষার প্রতিও ছিলাম সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। এখনো সেই একুশের চেতনা কিংবা অসাম্প্রদায়িক সৌভ্রাতৃত্ব বোধ আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে। অথচ একটি চিহ্নিত মহল মৌলবাদী মানসিকতা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধের বিষবাষ্প ছড়াতে অপচেষ্টা করেই চলেছে। আমরা সকলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাস করেও কেমন যেন সঙ্কীর্ণ মানসিকতায় ভুগছি অহরহ। এমনকি নিজ মাতৃভাষা যার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা নাই এবং প্রগাঢ় আনুগত্য বিদ্যমান, তার প্রতিও বিরাগ পোষণ করছি, কখনো জেনে কখনো না জেনে। আর সেই বৈরাগ্য দিনকে দিন গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে আমাদের সামাজিক জীবনে। ... যেমন ধরুন পাঠক, আমরা রাজধানী কিংবা জেলা উপজেলা শহরে যদি রাস্তার দুপাশে তাকাই তাহলে দেখবো দোকানের সাইনবোর্ডগুলো ইংরেজিতে লেখা। দুচারটে আরবিও মিলতে পারে। কিন্তু এই বাংলায় মাতৃভাষারই ওই সাইনবোর্ড থাকবার যে কথা ছিল, তা যেন নির্বাসিত হয়েছে। সবখানে না হলেও শতকরা সত্তর-আশি ভাগ বোর্ডে। দেখবেন রাস্তাঘাট, অলিগলিতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার অগুণতি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার প্রতি কেবলমাত্র বিত্তবান ও ধনিক শ্রেণীর মানুষেরই আগ্রহ সীমাহীন। বাংলাকে বিসর্জন দেয়ার এই মতলবী অকারণ আগ্রহ শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের পূতপবিত্র আত্মাকে অবমাননা করছে। জননী জন্মভূমি স্বর্গীদপি গরিয়সী এই মাতৃভূমিকে অসম্মান করে চলেছে, তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কেবলই উন্নয়ন ও আধুনিকতা কিংবা ইন্টারনেটের যুগের অজুহাত দেখিয়ে সে অনীহাকে যুক্তি দিয়ে যথার্থ প্রমাণ করতে চাইছেন, তা নিতান্তই গর্হিত, লজ্জাজনক, ঘৃণ্য চক্রান্তেরই নামান্তর। না হলে কেন আমরা নিজ মাতৃভাষাকে অবহেলা করে বিদেশি ভাষার প্রতি অকারণে এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আকৃষ্ট হয়েছি। মাতৃভাষার প্রতি একে অনীহাই বলতে পারি। তাই যারা এই অবমাননাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে আমাদের আবেদন, সনির্বন্ধ অনুরোধ, নিজ মাতৃভাষাকে অস্বীকার করে ভিনদেশি অপরিচিত ভাষার আশ্রয়ে নিজেকে ফলাও করাকে 'কাকের ময়ূর পুচ্ছ'-এর মতনই। সুতরাং আপন ভাষার সুন্দর সুশোভিত ও সুরভিত এবং ঐতিহ্যের অহঙ্কারকে মূল্যায়িত না করে কেবলই শৈবাল দামে কেলি করে নিজেদের মূল্যবান এবং সুশিক্ষিত নাগরিক করা মূর্খতারই শামিল। এই প্রবণতা কিংবা বিদেশি চক্রের সাথে স্বার্থপর উন্নাসিক গোষ্ঠীর অাঁতাতকে প্রতিহত করে নিজ মাতৃভাষা বাংলাকে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল করে তোলার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি কালা ও বধির হয়ে থাকি এবং যা ঘটছে চোখের সামনে, তাকে যদি প্রতিরোধ না করি তবে মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার পরিচয়ই দেব। এ কলঙ্ক মোচনে আমাদের তাই অতীত ইতিহাস, লড়াই সংগ্রাম এবং ঐতিহ্যনির্ভর সম্পদশালী সমৃদ্ধ মাতৃভাষা বাংলাকে সুরক্ষা তো করতেই হবে। সেই সাথে এ দেশের ৫৪টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকেও সম্মান দেখাতে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যে মানুষ বায়ান্নর ভাষা সংগ্রামে নিঃস্বার্থভাবে প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনার অনুসারী হয়ে ভাষার লড়াইয়ে সংগঠক ও সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের ভাষার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী স্বীকৃতি ও শিক্ষা চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে আমাদের ভাষা আন্দোলনকে কলঙ্কিত ও নিজেদের হীনম্মন্যই প্রমাণ করা হবে। আমরা যেহেতু নিজ মাতৃভাষার জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সব আঞ্চলিক ভাষার সমান মর্যাদা চেয়েছিলাম, সেই আমরা কেন আজ নিজ রাষ্ট্রের সুনাগরিক এবং বৃটিশ ও পাকিস্তানি দুঃশাসন ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সহযাত্রী ও সহযোদ্ধা ছিলেন তাদের প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হয়। অথচ সেই আমরাই বাঙালি গৌরবকে বিদেশ থেকে আমদানি করা ভাষার কাছে ক্রমশ হীনবল করে তুলছি। ... আমরা আপনার কাছে আপনি হারিলাম। হেরেই চলেছি। কিন্তু কেন? বাংলার মানুষ তো অমিততেজ। তারা অপ্রতিরোধ্য। এ কথা তো বাস্তবে প্রমাণ করেছেন বারংবার। সেই গর্বে উদ্দীপ্ত হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি তো বটেই, এই রক্তিম বাংলার জাতিত্ববোধ এবং বাংলার মানুষের আপন জাতিসত্তার নিজস্ব ঠিকানা হিসেবে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গৌরব আর কতইবা আছে? আপন মহিমায় আমরা সমুজ্জ্বল হতে চাই।
তাই বিদেশের দিকে তাকিয়ে নিজ মাতৃভাষাকে অপমানিত হতে দিতে রাজি নই। এখনো যারা নিজ দেশে নিজ গৃহে বাংলাকে কলঙ্কিত, অবহেলা কিংবা উপেক্ষা করে বিদেশি ভাষার প্রতি 'মূর্খতার প্রেম' প্রদর্শন করছি, তারা ফিরে আসুন আপন ভূবনে। গড়ে তুলুন মাতৃভাষার প্রতি অদশ্য প্রেম, অনীহা নয় কারো প্রতি সুস্থ সবল মানসিকতার প্রয়োজনে কলঙ্কিক্ত অতীতকে সংশোধিত করে যেন ভাষায় গরীয়ান হতে পারি, সেই সংগ্রামই বুঝি এখন করতে হবে।
তাই ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছরে সবার কাছে আমাদের আকুল আবেদন, সনির্বন্ধ অনুরোধ এবং সবিনয় সতর্কবাণী; এখনো যারা বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করছেন, অর্থবিত্তের লোভে নিজেদের মতন নবপ্রজন্মকে বিদেশি ভাষা রপ্ত করে কৃতিত্বের অধিকারী হওয়ার কৌশল করছেন, তারা সাবধান। মাতৃভাষাকে আর অবমাননা করবেন না। মানুষের সহ্যের সীমা আছে। বাংলার মানুষ যখন প্রতিরোধের অঙ্গীকার নিয়ে রুখে দাঁড়ায় তখন কিন্তু কোনো প্রবল শক্তিই সেই গণশক্তির সামনে দাঁড়াতে পাওে না। ফুৎকারে উড়ে যায়। প্রমাণ আমরাই সৃষ্টি করেছি। ১৯৫২ সালের রক্তাক্ত একুশের ইতিহাস কি সেই প্রমাণই বিশ্বের সামনে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই দীপ্তিমান করেনি ওই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বসংস্থায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে? সুতরাং এই মহান স্বীকৃতি, মহৎ সংগ্রাম যখন বিশ্বের দেশে দেশে প্রবল প্রাণের গৌরবে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার গৌরব এনে দিয়েছে, তখন আমাদের তো ভুলে গেলে চলবে না যে, মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করেছিল ভাষা বাঁচাবার তরে, তাদের অসম্মান করার অধিকার নেই। তাতে আমরাই আজ হতমান হই।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি? কেবল মুখে উচ্চারণ করে নয়, পাখির বুলির মতন গান গেয়েই নয়, আমাদের প্রমাণ করতে হবে আব্দুল হাকিমের সেই মহতী উচ্চারণ ঘৃণার সাথে। যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন'জানি। আমরা এমন নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হতে চাই না, আমরা বুক উঁচু করে বলতে পারি। মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
No comments:
Write comments