এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার
চিকিৎসাবিজ্ঞানের অবদান মানুষের জীবনকে সাবলীল ও দীর্ঘ করেছে এটা স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক ওষুধ ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে মানুষ ও প্রাণিকে বাঁচিয়ে দীর্ঘজীবন দানে সক্ষম হয়েছে। তাই বলা যায়, সভ্যতার বিকাশে এন্টিবায়োটিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধ আবিষ্কৃত না হলে যে মানুষ বা প্রাণি আজকাল ৭০ বা ৮০ বছর বেঁচে থাকছে, তা হয়তো শিশুকিশোর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তো। এমনকি এর অভাবে সভ্যতার অহংকারও বহু আগে ধ্বংস হয়ে যেতো। অতএব এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কার মহান আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম বৈকি। সত্যি বলতে কি, সভ্যতা যেমন সামনে এগিয়ে চলছে, তেমনই সভ্যতার অন্যতম বাহন মানুষও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিদিন।
এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রোগজীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া বেশ ভয়াবহ ও জীবনঘাতী। এই ব্যাক্টেরিয়ার আগ্রাসী যাত্রা রুখে দিতেই আবিষ্কার হয়েছে এন্টিবায়োটিকের। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, কিছু অপরিণামদর্শী জীবনরক্ষাকারী এ ওষুধের অপব্যবহার করে মানবসভ্যতাকে আবারও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিদিন। তবে এমনটি কেউ সচেতনভাবে করছে তা হয়তো বলা যাবে না। কিছু অসচেতন বা বেখেয়াল মানুষ নিজেদের অজান্তেই জীবনরক্ষাকারী এ ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার করে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসছে।
বিশ্বের বহুদেশে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি একেবারেই নিষিদ্ধ। সামান্য মাথা ব্যথা বা সর্দি-কাশির ওষুধ কিনতেও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র লাগে। কিন্তু আমাদের সব সম্ভবের এ দেশে বিস্ময়করভাবে জীবনরক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ওষুধও ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হয়। আমাদের দেশে ক্রেতা যে কোনও ওষুধ চাইলেই বিক্রেতা তা দিয়ে দেন, যেমন লবণ, মরিচ আর শাক-সবজি আর কি। শুধু তাই না, কোনও ক্রেতা ওষুধের দোকানে এসে ‘মাথা ব্যথা, সর্দি, গা মেজমেজ করছে, ওষুধ দেন’ এমনটি বললেই বিক্রেতা ডাক্তার না হয়েও তা দিয়ে দেন অনায়াসেই। এমনকি লোকটির সামান্য সর্দি কাশির জন্য এন্টিবায়োটিকের দরকার না হলেও তা দিয়ে দেয়া হয়। এই হচ্ছে এদেশের ওষুধ বেচাকেনার বহুল প্রচলিত নিয়ম। অথচ ওষুধের এমন খোলামেলা বেচাবিক্রি উন্নত বিশ্বের কোথাও দেখা যায় না। কাঁচা বাজারের মতো বেচাকেনার ফলে মানুষ যেমন মুড়িমুড়কির মতো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করে অর্থের অপচয় করছে, তেমনই নানা জটিলতাও সৃষ্টি হচ্ছে। ওষুধের কার্যকারিতাও পাচ্ছে হ্রাস। ফলে প্রয়োজনের সময় সঠিক ওষুধটি প্রায় কাজই করছে না। এতে বদনাম হচ্ছে যেমন চিকিৎসকের, তেমনই ওষুধ কোম্পানিরও।
আসলে ওষুধ সেবন করতে হবে ওষুধের মতোই। মুড়িমুড়কির মতো ওষুধ খেলে অসুখ যেমন সারবে না, তেমনই সৃষ্টি হবে জটিলতাও। এমনকি চোখ নষ্ট, কিডনি বিকল, লিভার ডেমেজ, পরিশেষে জীবনবিনাশের মতো বেদনাদায়ক পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অপব্যবহারের দরুন। কাজেই যেকোনও ওষুধ সেবন করতে হবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে ও সতর্কতার সঙ্গে। অন্যথায় হবে হিতে বিপরীত। এ ব্যাপারে ডাক্তার, রোগী, ওষুধ বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে জনসচেতনতা। উদ্যোগ নিতে হবে দেশ-পরিচালক ও প্রশাসনকেও। ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা বিষয়ক পাঠও সংযুক্ত করা যেতে পারে পাঠ্যতালিকায়।
এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রোগজীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া বেশ ভয়াবহ ও জীবনঘাতী। এই ব্যাক্টেরিয়ার আগ্রাসী যাত্রা রুখে দিতেই আবিষ্কার হয়েছে এন্টিবায়োটিকের। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, কিছু অপরিণামদর্শী জীবনরক্ষাকারী এ ওষুধের অপব্যবহার করে মানবসভ্যতাকে আবারও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিদিন। তবে এমনটি কেউ সচেতনভাবে করছে তা হয়তো বলা যাবে না। কিছু অসচেতন বা বেখেয়াল মানুষ নিজেদের অজান্তেই জীবনরক্ষাকারী এ ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার করে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসছে।
বিশ্বের বহুদেশে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি একেবারেই নিষিদ্ধ। সামান্য মাথা ব্যথা বা সর্দি-কাশির ওষুধ কিনতেও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র লাগে। কিন্তু আমাদের সব সম্ভবের এ দেশে বিস্ময়করভাবে জীবনরক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ওষুধও ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হয়। আমাদের দেশে ক্রেতা যে কোনও ওষুধ চাইলেই বিক্রেতা তা দিয়ে দেন, যেমন লবণ, মরিচ আর শাক-সবজি আর কি। শুধু তাই না, কোনও ক্রেতা ওষুধের দোকানে এসে ‘মাথা ব্যথা, সর্দি, গা মেজমেজ করছে, ওষুধ দেন’ এমনটি বললেই বিক্রেতা ডাক্তার না হয়েও তা দিয়ে দেন অনায়াসেই। এমনকি লোকটির সামান্য সর্দি কাশির জন্য এন্টিবায়োটিকের দরকার না হলেও তা দিয়ে দেয়া হয়। এই হচ্ছে এদেশের ওষুধ বেচাকেনার বহুল প্রচলিত নিয়ম। অথচ ওষুধের এমন খোলামেলা বেচাবিক্রি উন্নত বিশ্বের কোথাও দেখা যায় না। কাঁচা বাজারের মতো বেচাকেনার ফলে মানুষ যেমন মুড়িমুড়কির মতো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করে অর্থের অপচয় করছে, তেমনই নানা জটিলতাও সৃষ্টি হচ্ছে। ওষুধের কার্যকারিতাও পাচ্ছে হ্রাস। ফলে প্রয়োজনের সময় সঠিক ওষুধটি প্রায় কাজই করছে না। এতে বদনাম হচ্ছে যেমন চিকিৎসকের, তেমনই ওষুধ কোম্পানিরও।
আসলে ওষুধ সেবন করতে হবে ওষুধের মতোই। মুড়িমুড়কির মতো ওষুধ খেলে অসুখ যেমন সারবে না, তেমনই সৃষ্টি হবে জটিলতাও। এমনকি চোখ নষ্ট, কিডনি বিকল, লিভার ডেমেজ, পরিশেষে জীবনবিনাশের মতো বেদনাদায়ক পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অপব্যবহারের দরুন। কাজেই যেকোনও ওষুধ সেবন করতে হবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে ও সতর্কতার সঙ্গে। অন্যথায় হবে হিতে বিপরীত। এ ব্যাপারে ডাক্তার, রোগী, ওষুধ বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে জনসচেতনতা। উদ্যোগ নিতে হবে দেশ-পরিচালক ও প্রশাসনকেও। ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা বিষয়ক পাঠও সংযুক্ত করা যেতে পারে পাঠ্যতালিকায়।
No comments:
Write comments