‘রাষ্ট্র তুমি সংযত হও জনবান্ধব হও’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান এর কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্র তুমি সংযত হও, জনবান্ধব হও।’ গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে পুলিশের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, আপনারা যাকে আটক করেন তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করুন। ৪/৫ দিন আগে ধরে আটকের পর কাগজে-কলমে দেখাবেন যে, ২৪ ঘণ্টা আগে ধরা হয়েছে, এ তামাশা আপনারা করবেন না। এটা বন্ধ করুন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, পেট্রোল বোমা কারা ফাটাচ্ছে তাদের আপনারা ধরতে পারেন না। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। এদের বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সংঘাতকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সহিংসতা বলা যাবে না। এটা জঘন্যতম ফৌজদারি অপরাধ, সে বিবেচনায় একে নির্মূল করতে হবে। তা না হলে এটি রাজনীতি এবং রাষ্ট্রের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি এবং পেট্রোল বোমা- রাজনীতির সহিংস চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। আমরা জানি, গণতান্ত্রিক সমাজে বহুদল ও বহুমতের অস্তিত্ব খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সে কারণে তর্ক-বিতর্ক, মতবিরোধ রাজনীতিতে হতেই পারে। দুঃখজনক হলেও কখনও কখনও রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনাও ঘটে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা পুলিশী অভিযানের নামে যে দমন-পীড়ন ও গুলীর ঘটনা লক্ষ্য করেছি, তা গণতান্ত্রিক সরকারের কর্মকা-ের সাথে যায় না। আবার লাগাতার হরতাল-অবরোধের সাথে পেট্রোল বোমার যে নিষ্ঠুরতা লক্ষ্য করেছি, তাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে মানায় না। অবশ্য বিরোধী দল পেট্রোল বোমার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে না। তারা বরং বলছে, বিরোধী দলের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকেই ওইসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এসব বক্তব্যের পরেও আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, পেট্রোল বোমা হামলা রাজনীতির কোনো উপাদান হতে পারে না, বরং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ যারাই করবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভাল যে, এসব অপরাধ দমন করতে হলে সত্যনিষ্ঠভাবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো মোটিভ বা পূর্ব ধারণার ভিত্তিতে ঢালাওভাবে অভিযান চালানোর মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নাও হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলের আন্দোলনের মোকাবিলায় সরকারকে কঠোর অবস্থানে লক্ষ্য করা গেছে। আলাপ-আলোচনার বদলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার কৌশল অবলম্বন করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্রয়ের বাতাবরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রে পেশাগত মানদন্ড লঙ্ঘন করে বাড়াবাড়িমূলক তৎপরতা চালাতেও দেখা গেছে। এ কারণে দমন-পীড়নের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুলী করার ব্যাপারেও পুলিশকে বেশ নিঃশঙ্কচিত্ত মনে হয়েছে। এ কারণেই হয়তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৌরাত্ম্যকে চিহ্নিত করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘রাষ্ট্র তুমি সংযত হও, জনবান্ধব হও’। আমরা মনে করি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের ভূমিকাটাই প্রধান। আর এ কাজে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজে রাজনৈতিক বিদ্বেষ কিংবা অনুরাগ ও বিরাগের মনোভাব পরিত্যাজ্য। এ কাজে সাফল্য লাভ করতে হলে ন্যায়নিষ্ঠভাবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংযতভাবে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অনেক ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত তেমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি। এ কারণেই রাজনৈতিক অঙ্গনের মত নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও সমস্যার মাত্রা বেড়েছে। অনাকাক্সিক্ষত এমন পরিবেশ থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ও সংযত আচরণ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি এবং পেট্রোল বোমা- রাজনীতির সহিংস চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। আমরা জানি, গণতান্ত্রিক সমাজে বহুদল ও বহুমতের অস্তিত্ব খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সে কারণে তর্ক-বিতর্ক, মতবিরোধ রাজনীতিতে হতেই পারে। দুঃখজনক হলেও কখনও কখনও রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনাও ঘটে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা পুলিশী অভিযানের নামে যে দমন-পীড়ন ও গুলীর ঘটনা লক্ষ্য করেছি, তা গণতান্ত্রিক সরকারের কর্মকা-ের সাথে যায় না। আবার লাগাতার হরতাল-অবরোধের সাথে পেট্রোল বোমার যে নিষ্ঠুরতা লক্ষ্য করেছি, তাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে মানায় না। অবশ্য বিরোধী দল পেট্রোল বোমার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে না। তারা বরং বলছে, বিরোধী দলের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকেই ওইসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এসব বক্তব্যের পরেও আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, পেট্রোল বোমা হামলা রাজনীতির কোনো উপাদান হতে পারে না, বরং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ যারাই করবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভাল যে, এসব অপরাধ দমন করতে হলে সত্যনিষ্ঠভাবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো মোটিভ বা পূর্ব ধারণার ভিত্তিতে ঢালাওভাবে অভিযান চালানোর মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নাও হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলের আন্দোলনের মোকাবিলায় সরকারকে কঠোর অবস্থানে লক্ষ্য করা গেছে। আলাপ-আলোচনার বদলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার কৌশল অবলম্বন করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্রয়ের বাতাবরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রে পেশাগত মানদন্ড লঙ্ঘন করে বাড়াবাড়িমূলক তৎপরতা চালাতেও দেখা গেছে। এ কারণে দমন-পীড়নের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুলী করার ব্যাপারেও পুলিশকে বেশ নিঃশঙ্কচিত্ত মনে হয়েছে। এ কারণেই হয়তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৌরাত্ম্যকে চিহ্নিত করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘রাষ্ট্র তুমি সংযত হও, জনবান্ধব হও’। আমরা মনে করি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের ভূমিকাটাই প্রধান। আর এ কাজে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজে রাজনৈতিক বিদ্বেষ কিংবা অনুরাগ ও বিরাগের মনোভাব পরিত্যাজ্য। এ কাজে সাফল্য লাভ করতে হলে ন্যায়নিষ্ঠভাবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংযতভাবে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অনেক ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত তেমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি। এ কারণেই রাজনৈতিক অঙ্গনের মত নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও সমস্যার মাত্রা বেড়েছে। অনাকাক্সিক্ষত এমন পরিবেশ থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ও সংযত আচরণ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
No comments:
Write comments