লাশের মিছিল জাতি শোকাহত
গত ৫ জুন দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ছিল ‘‘নবাব কাটরায় লাশের মিছিল, লেলিহান আগুন কেড়ে নিলো ১১৭ জনের প্রাণ।’’ গা শিউরে উঠারমত শিরোনাম। ঘটনা ৩রা জুন, পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডি। স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কেউ বলেছেন, ট্রান্সফরমার থেকে আবার কেউ বলছেন কেমিকেল গোডাউন থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এলাকার ট্রান্সফরমারটি প্রায়ই বিস্ফোরিত হতো। তখন এলাকাবাসী চাঁদা দিয়ে অসংখ্যবার সেটি মেরামত করেছেন। তাদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভাগের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। অন্যদিকে কেমিকেল গোডাউন অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এসব দাবি সত্ত্বেও কেমিকেল গোডাউন অন্যত্র সরানো হয়নি। যদি ট্রান্সফরমার থেকে আগুন লেগে থাকে তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো তার দায়িত্ব কি বিদ্যুৎ বিভাগ নেবে? অন্যদিকে কেমিকেল গোডাউন থেকে যদি আগুন লেগে থাকে তাতে অত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো এর দায় কি কেমিকেল গোডাউনের কর্তৃপক্ষ নেবে? ঘটনার মাত্র দুই দিন পূর্বে বেগুনবাড়ী ট্র্যাজেডি জাতি ভুলতে না ভুলতেই পুরান ঢাকায় ঘটে গেল স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ‘‘নিমতলী ট্র্যাজেডি’’।
ঘটনা পরিদর্শনে গেলেন মন্ত্রী-এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবাক হয়ে দেখলেন সব কিছু। কারো কারো চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল পানি। কিন্তু একটিও মৃতপ্রাণও কি কেউ ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন? সে সামর্থ্য কারো নেই। ঘোষণা করা হলো একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক। দেশের মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অনুষ্ঠিত হলো নিহতদের রূহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত। কোনো ঘটনা ঘটলে জাতি শুনতে পায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বাড়িঘরের অবৈধ স্থাপনা, ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব, পরিবেশ ছাড়পত্রের অভাব, রাজউকের অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ ইত্যাদি ইত্যাদি এক বোঝা নীতিবাক্য। এসব নীতিবাক্য জাতি কোনভাবে গ্রহণ করে তা আমার জানা নেই। কেননা, একটি ভবন যখন তৈরি হয় তখন কি উক্ত সংস্থার সদস্যের কারো চোখে পড়ে না? ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা নেই-এ কথাটি কি শুধু আগুন লাগার মুহূর্তের জন্য প্রযোজ্য। ঢাকায় যেভাবে শিল্পায়ন, নগরায়ণ, মানুষের বসবাস বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য সরকার, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কূপ খননের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করতে পারে যেহেতু ঢাকা মহানগরী একটি যান্ত্রিক শহর। তাই মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো স্থানে পানি সরবরাহ করতে পারে।
বেগুনবাড়ীর যে ভবনটি ধসে পড়েছে তার পাশের আরেকটি ভবন বাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে এই ভবনটিও ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরান ঢাকার হাজার হাজার ভবন রয়েছে যেগুলো বহু আগে তৈরি। যেগুলোর স্থায়িত্ব অনেক পূর্বেই শেষ হয়ে গেছে। দেখলেই মনে হয় যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই ভবনগুলোর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেবে? নাকি আবার জাতি দেখবে বেগুনবাড়ী বা নিমতলীর মতো ট্র্যাজেডি। তাই বেগুনবাড়ী ও নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সরকার, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জাতি আশা করে।
ঘটনা পরিদর্শনে গেলেন মন্ত্রী-এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবাক হয়ে দেখলেন সব কিছু। কারো কারো চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল পানি। কিন্তু একটিও মৃতপ্রাণও কি কেউ ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন? সে সামর্থ্য কারো নেই। ঘোষণা করা হলো একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক। দেশের মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অনুষ্ঠিত হলো নিহতদের রূহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত। কোনো ঘটনা ঘটলে জাতি শুনতে পায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বাড়িঘরের অবৈধ স্থাপনা, ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব, পরিবেশ ছাড়পত্রের অভাব, রাজউকের অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ ইত্যাদি ইত্যাদি এক বোঝা নীতিবাক্য। এসব নীতিবাক্য জাতি কোনভাবে গ্রহণ করে তা আমার জানা নেই। কেননা, একটি ভবন যখন তৈরি হয় তখন কি উক্ত সংস্থার সদস্যের কারো চোখে পড়ে না? ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা নেই-এ কথাটি কি শুধু আগুন লাগার মুহূর্তের জন্য প্রযোজ্য। ঢাকায় যেভাবে শিল্পায়ন, নগরায়ণ, মানুষের বসবাস বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য সরকার, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কূপ খননের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করতে পারে যেহেতু ঢাকা মহানগরী একটি যান্ত্রিক শহর। তাই মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো স্থানে পানি সরবরাহ করতে পারে।
বেগুনবাড়ীর যে ভবনটি ধসে পড়েছে তার পাশের আরেকটি ভবন বাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে এই ভবনটিও ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরান ঢাকার হাজার হাজার ভবন রয়েছে যেগুলো বহু আগে তৈরি। যেগুলোর স্থায়িত্ব অনেক পূর্বেই শেষ হয়ে গেছে। দেখলেই মনে হয় যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই ভবনগুলোর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেবে? নাকি আবার জাতি দেখবে বেগুনবাড়ী বা নিমতলীর মতো ট্র্যাজেডি। তাই বেগুনবাড়ী ও নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সরকার, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জাতি আশা করে।
No comments:
Write comments