বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত দেখতে চাই
দেশের বিচার বিভাগ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবাখাত হিসেবে টিআইবির (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে দেশে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। টিআইবির রিপোর্টের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী ও সরকারি ঘরানার লোকজন। আর টিআইবির রিপোর্টকে বাস্তবভিত্তিক বলে বিবেচনা করছেন খ্যাতিমান আইন বিশেষজ্ঞসহ দেশের সচেতন মহল।
বিচার বিভাগ দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং সমাজকে মানুষের বাসযোগ্য রাখার ব্যাপারে বিচার বিভাগের গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারে না। অন্যকথায় বলা যায়, বিচার বিভাগই হলো মানুষের শেষ ভরসাস্থল। বিচার বিভাগকে মানুষ শুধু সম্মানই করে না, একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান বলেও মনে করে থাকে। তাই বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে মানুষ তখন শুধু অবাক হয় না, মর্মাহতও হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, টিআইবির মত প্রতিষ্ঠান এখন জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে বলছে, দেশের বিচার বিভাগ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবাখাত। সরকার অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ। উল্টো মন্ত্রীরা এখন টিআইবিকে নানাভাবে মন্দ বলছেন। এমন কি টিআইবিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদগার হিসেবে চিহ্নিত করারও প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এমন ধারার তৎপরতায় কি টিআইবির জরিপ মিথ্যা প্রমাণিত হবে? আসলে একটি জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হলে তো বস্তুনিষ্ঠ আর একটি জরিপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ পথে অগ্রসর না হয়ে শুধু বিষোদগারের মাধ্যমে কি সরকার বিচার বিভাগের ইমেজ সমুন্নত করতে সক্ষম হবে। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, বিচার বিভাগ নিয়ে মানুষের মনে এতদিন যে প্রশ্ন তৈরি হয়ে আসছিল টিআইবির রিপোর্টে তা ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি নিজেও বলেছেন, জেলা জজ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে পেশকারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সরকারি দল বরাবরই টিআইবি রিপোর্টকে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ' মনে করে প্রত্যাখ্যান করে, আর বিরোধী দল তা গ্রহণ করে থাকে। এ থেকেও রিপোর্টের বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায়। প্রসঙ্গত এখানে সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের বক্তব্য উল্লেখ করা যায়। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের অনিয়ম সম্পর্কে টিআইবির রিপোর্টেই শুধু বলা হয়নি, এর আগে বর্তমান প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ অনেকেই বলেছেন। তবে আমি যা বলতে চাই তা হচ্ছে-- দেশের মানুষ এখনও বিচারবিভাগকে শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করে থাকে। এটাই হচ্ছে বিচারবিভাগের সবচেয়ে বড় ভরসা। বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব বিচার বিভাগেরই। বিচার বিভাগের মর্যাদা যাতে আর ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকে সবারই নজর দেয়া উচিত। আমরাও বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত দেখতে চাই। অবশ্য এখন আকাঙ্ক্ষার অনুকূলে প্রয়োজন হবে কিছু কাজও। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কাঙ্ক্ষিত কাজে কতটা নিষ্ঠাবান হন সেটাই দেখার বিষয়।
বিচার বিভাগ দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং সমাজকে মানুষের বাসযোগ্য রাখার ব্যাপারে বিচার বিভাগের গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারে না। অন্যকথায় বলা যায়, বিচার বিভাগই হলো মানুষের শেষ ভরসাস্থল। বিচার বিভাগকে মানুষ শুধু সম্মানই করে না, একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান বলেও মনে করে থাকে। তাই বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে মানুষ তখন শুধু অবাক হয় না, মর্মাহতও হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, টিআইবির মত প্রতিষ্ঠান এখন জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে বলছে, দেশের বিচার বিভাগ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবাখাত। সরকার অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ। উল্টো মন্ত্রীরা এখন টিআইবিকে নানাভাবে মন্দ বলছেন। এমন কি টিআইবিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদগার হিসেবে চিহ্নিত করারও প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এমন ধারার তৎপরতায় কি টিআইবির জরিপ মিথ্যা প্রমাণিত হবে? আসলে একটি জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হলে তো বস্তুনিষ্ঠ আর একটি জরিপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ পথে অগ্রসর না হয়ে শুধু বিষোদগারের মাধ্যমে কি সরকার বিচার বিভাগের ইমেজ সমুন্নত করতে সক্ষম হবে। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, বিচার বিভাগ নিয়ে মানুষের মনে এতদিন যে প্রশ্ন তৈরি হয়ে আসছিল টিআইবির রিপোর্টে তা ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি নিজেও বলেছেন, জেলা জজ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে পেশকারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সরকারি দল বরাবরই টিআইবি রিপোর্টকে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ' মনে করে প্রত্যাখ্যান করে, আর বিরোধী দল তা গ্রহণ করে থাকে। এ থেকেও রিপোর্টের বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায়। প্রসঙ্গত এখানে সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের বক্তব্য উল্লেখ করা যায়। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের অনিয়ম সম্পর্কে টিআইবির রিপোর্টেই শুধু বলা হয়নি, এর আগে বর্তমান প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ অনেকেই বলেছেন। তবে আমি যা বলতে চাই তা হচ্ছে-- দেশের মানুষ এখনও বিচারবিভাগকে শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করে থাকে। এটাই হচ্ছে বিচারবিভাগের সবচেয়ে বড় ভরসা। বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব বিচার বিভাগেরই। বিচার বিভাগের মর্যাদা যাতে আর ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকে সবারই নজর দেয়া উচিত। আমরাও বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত দেখতে চাই। অবশ্য এখন আকাঙ্ক্ষার অনুকূলে প্রয়োজন হবে কিছু কাজও। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কাঙ্ক্ষিত কাজে কতটা নিষ্ঠাবান হন সেটাই দেখার বিষয়।
No comments:
Write comments