Flickr

Wednesday, 30 September 2015

মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের মারধর, আটক

Posted by   on

মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের মারধর, আটক

 
মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সবাইকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের পুলিশ বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টেনেহিঁচড়ে এক ছাত্রীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে টানা ১২ দিনের মতো শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ চলছে।
আজ বুধবার সকালে ১৬ জনকে আটক করা হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রায় সব আন্দোলনকারীকে আটক করে থানায় নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে শাহবাগ মোড় থেকে অন্য আন্দোলনকারী ধরে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রথম দফায় আটক করা শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান। এ সময় পুলিশ জাদুঘরের সামনের বাধা তুলে দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জাদুঘর পেরিয়ে এলে পুলিশ তাঁদের বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করে। টেনেহিঁচড়ে এক ছাত্রীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় মিছিল থেকে ১৬ জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। অন্য শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পুলিশ গিয়ে প্রায় সবাইকে তাড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়।
শাহবাগ থানার ভেতর গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকের কক্ষে আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থীকে খালি গায়ে ঢোকানো হচ্ছে। টেনেহিঁচড়ে ও মারধরের কারণে তাঁর পুরো শার্ট ছিঁড়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের আটক করার কারণ জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি আবদুল বাতেন বলেন, ‘যান চলাচলে বাধার কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের রাইফেলের বাট দিয়ে কেন আঘাত করা হয়েছে ও ছাত্রীর পোশাক কেন ছিড়ে ফেলা হয়েছে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। তবে পুলিশ যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে থাকে, তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
শাহবাগ থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তাঁরা আটক ওই ১৬ জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শাহবাগে যখন তাঁরা বসার চেষ্টা করছিলেন, তখন পুলিশ বাধা সরিয়ে দিয়ে তাঁদের চলে যেতে বলেন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যখন চলে যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ বিনা উসকানিতে অতর্কিতে এসে তাঁদের সহপাঠিদের মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই সমাবেশে সারা দেশের মেডিকেল ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
১৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে একযোগে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দেশের ১০টি জেলায় এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter