Flickr

Sunday, 4 October 2015

বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে: প্রধানমন্ত্রী

Posted by   on

বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে: প্রধানমন্ত্রী

 
ইতালি ও জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিশ্চয় উদ্দেশ্য আছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনে নিশ্চয় তাদের মদদ আছে। আমাদের অর্জনগুলোকে ম্লান করানোর জন্য এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়। এটার পেছনে নিশ্চয় একটা উদ্দেশ্য আছে। তাদের হাত আছে।’ তবে বিদেশি নাগরিকদের হত্যায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার হবে বলেও আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ারের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যার স্টাইলটা একই রকম। ইতালি নাগরিককে চারটি গুলি মারা হয়েছে। একটা গুলিও মিসফায়ার হয়নি। চারটা গুলিই তার লাগল। তার মানে কি এটা সুপরিকল্পিত। আমি তার আগে একটু স্মরণ করাতে চাই, এর আগে বিএনপির এক নেতার বক্তব্য। এরপরে তার রিঅ্যাকশন সেগুলো যদি মিলিয়ে দেখেন। তাহলে জিনিসটা খুব স্পষ্ট হয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল না আসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল যে আসলো না, অস্ট্রেলিয়ায় কী ঘটল? সেখানেও সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে গুলি করে মারলো। আমি জানি না, আমাদের মিডিয়াগুলো হাইলাইটস করেছে কি না। অস্ট্রেলিয়া কী জবাব দেবে। যেসব দেশ বাংলাদেশে একজন হত্যার পর রিঅ্যাকশন দেখালো, তারা অস্ট্রেলিয়ার এই হত্যাকাণ্ড এবং আমেরিকার স্কুলে গুলি করে হত্যা করার পর কী করলো। তারা কী সেখানে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, এখানে রেড অ্যালার্ট হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া দুজনকে মারা হলো তারা সেখানে কী করেছে। আমরা একটা ঘটনা ঘটলে বেশি সেনসেটিভ হয়ে যাই। অর্জনগুলো যেন শ্যাডো হয়ে গেল। অর্জনগুলো হারিয়ে গেল। আমরা এত মানসিক দৈন্যে কেন ভুগি।’
তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা এগুলো ঘটাবে..অবশ্যই এখানে পরিকল্পিত কিছু তো আছেই। আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। তারাই ৭৫-এর পর ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে তাদের যখন আমরা বিচার করছি। তার কিছু রিঅ্যাকশন তো হবেই। এখানে কিছু গণসচেতনতা দরকার।’
দলের লোকজনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই থাকি। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ, যখন যে ঘটনা ঘটছে খবর পাচ্ছি। ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাজেই আমি আপনাদের বলব—সব অর্জন একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল এই ঘটনায়; এই যদি আপনাদের চিন্তা-ভাবনা হয়, তাহলে আমার মনে হয় ওই বিএনপি-জামায়াত রাজাকারদের যে উদ্দেশ্যে সেটাই সফল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রিপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments:
Write comments
Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter